ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
বছরের পর বছর সমকালীন অভিনেতা অভিনেত্রীদের পিছনে ফেলে কী ভাবে একই রকম ভাবে প্রাসঙ্গিত থাকতে হয়, তা প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে দেখে শেখার মতো। তাঁর সমকালীন অভিনেত্রীদের রুপোলি পর্দায় কালেভদ্রে শিরোনামে আসেন। লারা দত্তা, দিয়া মির্জা, ক্যাটরিনা কাইফ, করিনা কপূরদের বলিউডের অনুষ্ঠানগুলিতেই দেখা যায় বেশি। কেউ বছরে একটি ছবি করেন, কেউ আবার তা-ও করেন না। অন্য দিকে, প্রিয়ঙ্কা কখনও বিদেশি পুরস্কার বিতরণী সভায়, কখনও মেট গালায়, কখনও নিজের হলিউডের ছবির প্রচারে আবার কখনও নিজের প্রযোজিত মারাঠি ছবির প্রচারে মুম্বই থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর কেতাদুরস্ত সাজগাজের জন্য শিরোনামেও আসছেন। দিন কয়েক আগেই প্রিয়ঙ্কার পরা একটি গাউন নিয়ে প্রশংসা থামছিলই না অনুরাগীদের। সেই আলোচনায় অবশ্য দাঁড়ি পড়েছে প্রিয়ঙ্কার সৌজন্যেই। একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি হিরের নেকলেস পরে হাজির হয়েছিলেন। সেই ছবি নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।
ছবি: সংগৃহীত।
বিলাসবহুল অলঙ্কারের বিদেশি ব্র্যান্ড বুগেরি তাদের ১৪০তম বর্ষের অনুষ্টানে আমন্ত্রণ করেছিল প্রিয়ঙ্কাকে। সেখানেই প্রিয়ঙ্কা একটি সাদা-কালো গাউনের সঙ্গে পরেছিলেন বুগেরির সার্পেন্টি নেকলেস। দেখলে মনে হবে হিলহিলে সাপের আঁকা বাঁকা দেহ। যা তৈরি হয়েছে ৬১.৮১ ক্যারাট ওজনের ৬৯৮টি লম্বাটে হিরে দিয়ে। সাপের শরীর থেকে ঝুলছে বড় বড় হিরের লকেট। ছ’টি মাঝারি এবং একটি বড় হিরের লকেটের মোট ওজন ১৪০ ক্যারাট। বুগেরির ওই হারটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি নেকলেসগুলির মধ্যে অন্যতম বলে মনে করা হয়। কারণ নেকলেসটির দাম ৪০ মিলিয়ন ইউরো। ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে ৩৫৪ কোটি ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
গত ২১ মে বুগেরির ওই নেকলেস পরে তাদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তবে হঠাৎই সেই নেকলেস নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। বুগেরির অল্টার্না সংগ্রহের অন্তর্গত ওই নেকলেসটি ব্র্যান্ডের সর্বকালের পছন্দের গয়নাগুলির মধ্যে একটি। ওই গয়না বুলগেরির বিশেষ শো রুমে প্রদর্শিত থাকে।