Driving License

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে জুন থেকে আর আরটিওতে গিয়ে পরীক্ষা নয়, অনেক প্রশ্ন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে

কেন্দ্রীয় পূর্ত-সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের নতুন নিয়মে সরকারি আরটিও-র পরিবর্তে ব্যক্তিগত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ড্রাইভিংয়ের পরীক্ষা দিতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ১৬:৩৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আর সরকারি আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসে (আরটিও) গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় পূর্ত-সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের নতুন নিয়মে সরকারি আরটিও-র পরিবর্তে ব্যক্তিগত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ড্রাইভিংয়ের পরীক্ষা দিতে পারবেন। সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তারা কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কথাই জানতে পেরেছে।

Advertisement

রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বেসরকারি ড্রাইভিং শেখানোর প্রতিষ্ঠানগুলিকে লাইসেন্সের যোগ্যতার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা এবং সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পূর্ত-সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে, যা আগামী জুন থেকে গোটা দেশে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়ে যাবে বলেই সূত্রের খবর। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গাড়ি চালকদের বড় অংশ মনে করছেন বেসরকারি সংস্থার হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষার বিষয়টি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেমন এতে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কালোবাজারির রমরমা হবে। তেমনই রাস্তাঘাটে বেড়ে যেতে পারে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নতুন পদ্ধতি চালু হলে অনেক আনকোরা ব্যক্তি হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন, তাঁরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামলে বিপত্তি দেখা দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে পরিবহণ শিল্পকে ধংস করে দিতে চাইছে এটিই তারই নমুনা। কেন্দ্রীয় সরকার গোটা পরিবহণ বিষয়টিকে বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। এই সিদ্ধান্ত সেই পদক্ষেপের ফসল।’’ আবার জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এই পদ্ধতি চালু হলে প্রশাসন দুর্নীতি রুখতে পারবে না। সবার আগে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উচিত পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয়ক ব্যক্তি এবং সমাজের অগ্রগণ্য মানুষদের মতামত নিয়ে নীতি ঠিক করে তা প্রণয়ন করা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সামাজিক ভাবে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাবে বলেই আমরা মনে করছি।’’

নতুন এই নিয়ম কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, এখনও কেন্দ্রীয় পূর্ত-সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। তাই এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement