নন্দীগ্রাম থানায় শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে পৌঁছে সরাসরি পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ করলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই অভিযোগ তিনি করলেন নন্দীগ্রাম থানার ভিতরে দাঁড়িয়ে। তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ধমক দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।
বুধবার রাতপাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির। গুরুতর আহত তাঁর ছেলে সঞ্জয়ও। বিকেলে নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। তার পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থানায় ঢোকার আগে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তাঁদের ধমক দেন শুভেন্দু। এর পর শুভেন্দু থানার ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে এক কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে তিনি বলেন, ‘‘খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে, মাকে খুন করেছে। রথিবালা আড়ি সঞ্জয় আড়ির মা নন, তিনি আমার মা। খুনিদের সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন। আমি জানতে চাই, খুনির সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন কেন? মজা দেখাব আইসিকে!’’
বুধবার রাতে রথিবালার মৃত্যুর আগে থেকেই আগুন জ্বলছে নন্দীগ্রামে। সোনাচূড়া এলাকায় গোলমাল শুরু হলেও ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সকাল হতেই মনসা বাজার এলাকায় রাস্তার উপর গাছ ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক দোকানে। পুলিশ অবরোধকারীদের উঠে যেতে বললেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত, লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় উপস্থিত জনতা।
তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কোনও ব্যাপারই নেই। স্থানীয় নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, বিজেপিতে নব্য এবং আদির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। সেই লড়াইয়েরই বলি হয়েছেন রথিবালা। যদিও তৃণমূলের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে। এই প্রসঙ্গেই নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে তুলকালাম বাধান শুভেন্দু।