রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হতে আইনগত ভাবে বাধা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। বিষয়টি বিধানসভায় পাশ করালেই চলবে। সংবিধান মতে, নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভার অনুমোদিত সিদ্ধান্ত আইন মেনে বিধানসভায় পাশ করালে তা স্বাক্ষর করতে বাধ্য থাকবেন সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচার্য হতেই পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে করার প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে মন্ত্রিসভার এমন সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নানা মহলে। আইনজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, যদি রাজ্য সরকার আইনগত ত্রুটি না রেখে বিধানসভায় এই বিল পাশ করায় সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালকে স্বাক্ষর করতেই হবে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় থাকছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের সঙ্ঘাত বার বার সামনে এসেছে। সে দিক থেকে ধনখড় বিধানসভার পাশ করা বিলে স্বাক্ষর করবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার যদি স্বাক্ষর করেন, তা হলে নিজের অপসারণের বিলেই তাঁকে সম্মতি দিতে হবে।
আবার ধনখড় বিলে পাশ না করলেও বিকল্প থাকছে শাসকদলের কাছে। যে হেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে যৌথ তালিকাভুক্ত, তাই রাজ্যপালকে এড়িয়ে যাওয়ার পথও খোলা রয়েছে রাজ্যের কাছে। যদিও তা কিছুটা জটিল পদ্ধতি। অন্য দিকে, উদাহরণ হিসাবে তামিলনাড়ুর কথা বলা যায়। সেখানকার সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে রাজ্যপালের কাছ থেকে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নেয়।