madhuri dixit

Madhuri Dixit: ঠান্ডায় ঠোঁট জমে নীল, হাড়কাঁপানো শীতে ফিনফিনে শিফন শাড়িতে মাধুরী!

আলাস্কায় শ্যুটিং। হিমবাহের উপরে গানের দৃশ্যে নায়ক-নায়িকা। অনিল কপূর জ্যাকেটে ঢাকা। পাতলা শিফন শাড়িতে মাধুরী দীক্ষিত! তার পর?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ১৯:৪৮
Share:

প্রবল ঠান্ডা, তবু কাবু হননি মাধুরী!

শ্যুটিং বড় বালাই! সে পুড়িয়ে দেওয়া গরমই হোক আর জমিয়ে দেওয়া শীত, ছবিতে যেমনটা চাই, সে ভাবেই সাজ থেকে অভিনয়। আর তা করতে গিয়ে নিজেই প্রায় জমে বরফ হয়ে যাওয়ার জোগাড় মাধুরী দীক্ষিতের!

Advertisement

সম্প্রতি মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরনো শ্যুটিংয়ের গল্প শোনাচ্ছিলেন ‘ধক ধক গার্ল’। তাতেই উঠে এল হাড়কাঁপানো শীতে এক গানের দৃশ্যে অভিনয়ের কাহিনি। তখন ‘পুকার’-এর শ্যুটিংয়ে অনিল কপূর, মাধুরী দীক্ষিত-সহ গোটা ইউনিট আলাস্কায়। ছবির একটি গান, ‘কিসমত সে তুম হমকো মিলে হো’র দৃশ্য ছিল এক হিমবাহের উপরে, বরফে মোড়া প্রান্তরে। তার পর হিন্দি ছবিতে যেমনটা হয়! জিনস-টিশার্টের উপর ভারী ওভারকোট চাপিয়ে নায়ক অনিল। এবং নায়িকা মাধুরী স্রেফ ফিনফিনে শিফন শাড়িতে!

Advertisement

আলাস্কার ঠান্ডায় সেই গানের দৃশ্য।

প্রথম দিনের শ্যুট। ক্যামেরা চলছে। গানও শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিকে ঠোঁট মেলাতে আর পারছেন না মাধুরী। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘তখন বিকেল। শীত ক্রমশ বাড়ছে। কনকনে ঠান্ডায় তখন ঠোঁট নাড়াতেই পারছি না! গানের সঙ্গে মেলাব কী! অবস্থা বুঝে ইউনিটের ডাক্তার ছুটে এলেন। তিনিই বললেন, ‘ওর তো ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছে!’ আমি তখন ঠকঠক করে কাঁপছি। সে দিনের মতো প্যাকআপ ছাড়া গতি ছিল না আর!’’

পরদিন অবশ্য হয়েছিল সেই শ্যুট। তত ক্ষণে ঠান্ডা একটু সয়ে গিয়েছে সকলের। মাধুরীর কথায়, ‘‘শিফন শাড়িই পরেছিলাম। তবু এ বার গরম চাদর হাতে এক জন দাঁড়িয়ে ছিলেন কাছেই। শট শেষ হচ্ছে আর তিনি দৌড়ে এসে আমায় চাদরে মুড়ে দিচ্ছেন। আর ছোট্ট একটা হিটারও দেওয়া হচ্ছিল, যাতে খানিকটা গরম হয়ে নিতে পারি!’’

রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালনায় ২০০০ সালে মুক্তি পায় ‘পুকার’। ছবিতে অনিল-মাধুরী ছাড়াও ছিলেন নানা পটেকর, নম্রতা শিরোদকর প্রমুখ। ছবির পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়েছিল তার গানগুলোও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement