কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রামনবমীতে অশান্তি নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয়নি এনআইএ। রিপোর্ট দিতে আরও কিছুটা সময় চেয়েছে তারা। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে যে অশান্তির অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে তারা প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। আগামী ১৩ জুন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রামনবমীর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। সিআইডি এবং মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের তরফে পৃথক ভাবে দু’টি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে বোমাবাজির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে বোমা ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে। তেমন হলে তদন্তভার তো এনআইএ-র কাছেই যাওয়া উচিত। না হলে যত সময় গড়াবে, ততই তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করার সম্ভাবনা বাড়বে বলে আশঙ্কা আদালতের। বিষয়টি এমনিতেই সংবেদনশীল। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রামনবমীতে মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে কোথাও এমন কোনও মন্তব্য করবেন না, যাতে অশান্তি বাড়তে পারে।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের রেজিনগর এলাকা। অভিযোগ, রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকা দিয়ে যখন মিছিল যাচ্ছিল, তখন কয়েক জন বাড়ির ছাদ থেকে ঢিল ছোড়েন। এলাকায় বোমাবাজিও করা হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফও নামাতে হয়েছিল পুলিশকে। সে দিনের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, এই ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে এ বিষয়ে তদন্ত করতে দেওয়া হোক। শুক্রবার আদালত তেমন মন্তব্যই করেছে।
তবে এখনও পর্যন্ত কারা এই ঘটনার তদন্ত করবে, তা নিয়ে নির্দেশ দেয়নি আদালত। এনআইএ-র অনুসন্ধানের রিপোর্ট দেখেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে। ১৩ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাটিকে।