প্রতীকী ছবি।
ডোকলামের সমস্যা নিয়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিংয়ের একাধিকবার বৈঠক হয় বলে দাবি দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বার। নীরজ জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলেও বিজেপির প্রতীকে জেতা বিধায়ক। তিন বছর পর, রবিবার বিকেলে দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে সভা করে জিএনএলএফ। সেখানে মোর্চার বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে নীরজ, মন ঘিসিংরা তোপ দাগেন।
সভায় নীরজ জানান, ২০১৭ সালে পাহাড়ে ১০৪ দিনের বন্ধ, আন্দোলন চলছিল। আগুন জ্বলছিল পাহাড়ে। তখন ডোকলাম নিয়ে প্রতিবেশী চিনের সমস্যা তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতিতে অজিত ডোভাল দিল্লি ও দেরাদুনে মনের সঙ্গে বৈঠক করেন। নীরজের দাবি, রাজ্যকে চিঠি দিয়ে আলোচনা শুরুর জন্য মনকে অনুরোধ করেন ডোভাল। তা না হলে বাইরের শক্তি, সিকিম সীমান্তের অস্থিরতা পাহাড়ের পক্ষে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। রাজ্যকে চিঠি দিয়ে আলোচনা শুরুর পথ করে পাহাড় এবং দেশের নিরাপত্তায় সে দিন মনই সাড়া দেন বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের।
নীরজের কথায়, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকেও টেলিফোন করেছিলেন। দেশের অত্যন্ত অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা নিয়ে তিনি খুব উদ্বেগে ছিলেন। পাহাড়ে গোলমাল, অশান্তি বাড়তে থাকলে তা কীভাবে পরবর্তী কালে জাতীয় সমস্যা হতে পারে তাও তিনি জানিয়েছিলেন।’’ মন নিজে অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং তিনি এ দিন সরাসরি বিমল গুরুংকে গোর্খা জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দায়ী করেছেন।
জিএনএলএফ নেতারা জানান, রাজ্য মন ঘিসিংয়ের চিঠি পেয়ে ধীরে ধীরে আলোচনা শুরু করে। বিনয় তামাং, অনীত থাপারা রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা করে পাহাড়ে ফেরেন। বন্ধ উঠে পাহাড় স্বাভাবিক হয়। তার পর মোর্চা পাহাড়ের জন্য কী করেছে তা বলে বেড়ায়।