Narayangarh

ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সৌভিককে, নারায়ণগড়ে তৃণমূল কর্মী খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য  

সৌভিকের পরিবারের আরও অভিযোগ, দলের কেউ তাঁদের খবর দেননি। টিভি দেখে ছেলের খুনের কথা জানতে পারেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:০৯
Share:

শোকার্ত সৌভিকের পরিবার। —নিজস্ব চিত্র

গুলি করে খুনের আগে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই দাবি করলেন মঙ্গলবার রাতে নিহত নারায়ণগড়ের তৃণমূল কর্মী সৌভিক দলুইয়ের পরিবারের লোকজন। নারায়ণগড় থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে গুলি করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে সৌভিকের পরিবার। অন্য দিকে বোমায় আহত দু’জনের মধ্যে সীতারাম মুর্মুকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

নিহত সৌভিকের মা সুনীতা বুধবার বলেন, ‘‘তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিল সৌভিক। তাকে হুমকি দিত বলে শুনেছিলাম। কিন্তু তার পরিণাম যে এত ভয়ঙ্কর হবে, তা বুঝতে পারিনি।’’ দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন সুনীতা। তবে প্রতিবেশীদের সন্দেহ, ঘটনার পিছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তবে নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ্র বলেন, ‘‘দলের কর্মী ছিলেন সৌভিক। কে বা কারা মারল, তা তদন্ত করছে পুলিশ। দলে কোনও কোন্দল নেই।’’

মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগড় থানার মকরামপুর এর অভিরাম পুর এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চলার ঘটনা ঘটে। আহত ৩ জনকে প্রথমে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ সৌভিকের। সৌভিকের পরিবারের আরও অভিযোগ, দলের কেউ তাঁদের খবর দেননি। টিভি দেখে ছেলের খুনের কথা জানতে পারেন। এমনকি, মৃত্যুর পরেও তাঁদের সঙ্গে দলের কেউ যোগাযোগ করেননি।

Advertisement

গুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শিটের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। ঘটনার কাছাকাছি সময়ে দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে ভর্তি করাতে খড়গপুর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানেই রাতে খবর পাই, মকরামপুরে কিছু হয়েছে। কিন্তু কী হয়েছে তা স্পষ্ট জানতাম না। পরে জানতে পারি, ওখানে গুলি চলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement