CPM

Narada Scam: রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি, উভয়কেই দুষল সিপিএম

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সিপিএমের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিবিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২১ ১৮:২৫
Share:

সিবিআইয়ের গ্রেফতার নিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বিবৃতি

নারদ কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তৎপরতা এবং গ্রেফতার নিয়ে, তৃণমূল এবং বিজেপি ২ দলকেই দুষল সিপিএম। সোমবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারিতে যখন সারা দেশের মানুষের জীবন, জীবিকা অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন তখনই সরকারের সীমাহীন অপদার্থতা চাপা দিতে মানুষের নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে'। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সিপিএমের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিবিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। গ্রেফতারের প্রতিবাদ করলেও রাজ্যের শাসকদলকেও দুষেছে সিপিএম। তাদের মতে, ‘বিজেপি এই পরিস্থিতিকে ঘোরাল করেছে এবং তৃণমূল এই পরিস্থিতিতির সুযোগ গ্রহণ করতে তৎপর হয়ে উঠেছে'।রাজ্যের মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েতের নিন্দাও করা হয়েছে সিপিএমের দেওয়া ওই বিবৃতিতে।

Advertisement

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এখন করোনা মোকাবিলাই প্রধান কাজ’। আরও বলা হয়েছে, ‘বিজেপি-র মনে রাখা উচিত রাজ্যের মানুষ যাঁদের সরকারে চায় না, সদ্য তাঁরা স্পষ্ট ভাবে সেই রায় দিয়েছেন'। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকারও সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে, এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূলের দুর্নীতি এবং স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়’। বিবৃতিতে তৃণমূলকে সিপিএমের পরামর্শ, ‘সঙ্ঘ পরিবার এবং বিজেপি-র ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হলে নিজেদের দলের অভ্যন্তরে দুর্নীতি এবং বিরোধীশূন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হয়’। রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর সিপিএমের এই বিবৃতি ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement