মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ তিনি ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি থেকে পৌঁছন নিজাম প্যালেসে। বেরোলেন পৌনে ৫টা নাগাদ। শুনানি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। ঘটনাবহুল সোমবার। সকালেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এই খবর যখন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি। সেখানেও পৌঁছে যান সিবিআই কর্তারা। মন্ত্রী তখন বলেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন সিবিআই সূত্রে জানানো হয়, গ্রেফতার নয়, মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে ৪ জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ফিরহাদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান চেতলায় পরিবহণ মন্ত্রীর বাড়ি। সেখান থেকে সোজা চলে আসেন নিজাম প্যালেস।দাবি করেন, এই গ্রেফতার বেআইনি।নিজাম প্যালেসের পনেরো তলায় সিবিআইয়ের ডিআইজি-র ঘরে যান মুখ্যমন্ত্রী।
দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের ডিআইজিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকেও গ্রেফতার করা হোক। নিজাম প্যালেসে বসেই ফোনে বেশ কিছু বৈঠক সারেন মমতা। ফোনেই অক্সিজেন বাসের উদ্বোধন করেন তিনি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিজাম প্যালেসের বাইরে। বিক্ষোভ দেখানো হয় রাজভবনের বাইরেও। বিকেলে শুরু হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ধৃত ৪ নেতার শুনানি। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ চার্জশিট জমা পড়ে। তখনও মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে উপস্থিত। বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন তিনি। গাড়িতে ওঠার পর উপস্থিত সমর্থকদের দিকে হাত নাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসার পর অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মমতা। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে তাঁর কনভয় যায় নবান্নের দিকে।