প্রতীকী ছবি।
পুরভোটে বস্তিবাসীকে কাছে পেতে এ বারে মাঠে নামছে বহরমপুর শহর তৃণমূল। ভোট কুশলী পিকে’রদাওয়াই মেনে আগামী ১৫ দিন ধরে শহরের প্রতিটি বস্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা গিয়ে তাঁদের সমস্যা নিয়ে যেমন খোঁজ খবর নেবেন তেমনই রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের কথাও তুলে ধরবেন।
তৃণমূলের বহরমপুরের পুরভোট পরিচালন কমিটির প্রথম বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বহরমপুরের সমবায়িকার সভাগৃহে ওই বৈঠকে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান, শহর তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়-সহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বস্তিতে যাওয়ার কর্মসূচির পাশাপাশি প্রার্থী নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে, এলাকায় তাঁর সংগঠন রয়েছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রয়েছে এমন লোককে প্রার্থী হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। আবার মহিলাদেরও গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে এখন থেকে ভোটের প্রচারের জন্য দেওয়াল লিখন শুরু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।
সূত্রের খবর, বহরমপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অন্ততপক্ষে ২৫টি বস্তি রয়েছে। সেগুলিতে ৮ থেকে ১০ হাজার পরিবার বসবাস করেন। ভোটার সংখ্যাও প্রায় ৪০ হাজার। তৃণমূল প্রথমে এই সব বস্তিবাসীর বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বহরমপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প করেছে। সেগুলি বস্তিবাসীর সামনে তুলে ধরা হবে। তেমনই আগামী দিনে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তাঁদের বাড়ি দেওয়া হবে বলেও জানানো হবে।’’ বিরোধীরা ইতিমধ্যে বস্তি উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ বস্তিবাসীর উন্নয়নের জন্য এই পুরসভা কোনও
ব্যবস্থা করেনি। তৃণমূলকে ঠেস দিয়ে শহর কংগ্রেস সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, ‘‘এত দিন বস্তির লোকের কথা তাঁদের মনে ছিল না। ভোট আসতেই তাঁদের কথা মনে পড়েছে? আগে বস্তিগুলিতে পানীয় জল, নিকাশি, শৌচালয়ের ব্যবস্থা করুক।’’ সিপিএমের বহরমপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস মিশ্র বলেন, ‘‘বাম সরকার বস্তিবাসীকে এক টাকায় দীর্ঘ মেয়াদি লিজ দেওয়ার জন্য আইন করেছিল। কিন্তু এই সরকার তা কার্যকর করেনি। চরম কষ্টে তাঁরা মাথা গুঁজে
বসবাস করেন।’’ নাড়ুগোপাল বলেন, ‘‘আমরা সব সময় বস্তির মানুষের পাশে থেকেছি।’’