পর্যটকদের ভিড়। হাজারদুয়ারিতে। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের অন্যতম পর্যটন স্থান মুর্শিদাবাদ শহরে অবস্থিত হাজারদুয়ারি প্রাসাদ ও মিউজিয়াম। পুজোর আগেই লালবাগ শহরের অধিকাংশ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। কার্যত চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শহরে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। স্বভাবতই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা লালবাগ শহরের একাধিক হোটেল।
আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ কিছু হোটেলের অগ্রিম বুকিং হয়ে রয়েছে। মুর্শিদাবাদ হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বপন দাস বলেন, “পুজোর দু’দিন আগে থেকেই এ বছর পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন। সেই কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শহরের হোটেল ব্যবসায়ী-সহ পর্যটনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা সকলেই খুশি। তবে তুলনামূলক ভাবে পুজোর ছুটিতে এই রকম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড়, বিগত কয়েক বছরে সেভাবে নজরে আসেনি। পুজোর ছুটিতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড়, এক ভিন্ন ধরনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অধিকাংশ হোটেলের বুকিং হয়ে রয়েছে।’’
এর ফলে ব্যবসায়ীরা খুবই খুশি। হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে টাঙা চালক পর্যন্ত পর্যটনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্তরেই লাভ হয়েছে।
শুধু হাজারদুয়ারি নয়, হাজারদুয়ারি সংলগ্ন কাঠগোলা বাগান, মতিঝিল পার্ক, কাটরা মসজিদ, নশিপুরে জগৎ শেঠের মিউজিয়ামেও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। তার মধ্যে কিছু পর্যটক এক দিনের সফর সেরে নিয়ে যে যার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। অধিকাংশ পর্যটকই বেশ কয়েক দিনের ছুটি কাটাতে লালবাগে আসেন।