Sagardighi By Election

প্রচার, বিক্ষোভে তেতে উঠছে সাগরদিঘি

এ দিনের প্রচারে সাগরদিঘিতে স্থানীয় নেতারা তো ছিলেনই, তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসেন সায়নী ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৮
Share:

থানা অবরোধে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

রবিবার সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে শনিবার থানায় বিক্ষোভে তেতে উঠল সাগরদিঘি।

Advertisement

এ দিনের প্রচারে সাগরদিঘিতে স্থানীয় নেতারা তো ছিলেনই, তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসেন সায়নী ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম। এদিন সভার শেষ প্রস্তুতি দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন জঙ্গিপুরের তৃণমুল সভাপতি খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ আসবেন বলে আশা করছি। সবটাই সাগরদিঘি থেকে।’’

এ দিন দলীয় নেতার গ্রেফতারেও নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে পাটকেলডাঙায় ভোট লুঠ করতেই দলের নেতা সইদুর রহমানকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পোরা হয়েছে। তৃণমূল দল নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা সাগরদিঘি জুড়ে লুঠতরাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে নিয়েছে।আমরা এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ খলিলুর অবশ্য বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের সঙ্গে কোনওরকম রাজনৈতিক যোগ নেই শাসক দলের। পুলিশ চলছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে।”

Advertisement

অধীরের পাল্টা দাবি, ‘‘নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ আমাদের কথা শুনবে না। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে। আরও বাহিনী আসছে। মোট ৩০ কোম্পানি বাহিনী আসবে বলে জেনেছি। এরই মধ্যে ভগবানগোলা ও লালগোলার পথ ধরে সমাজবিরোধীদের ঢোকানো হচ্ছে সাগরদিঘিতে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্থানীয় পুলিশ নিজে থেকে সহযোগিতা করে চললেও নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের চাপ তত বাড়ছে স্থানীয় পুলিশের উপরে। তাতেই তাদের চাকরি বাঁচাতে নানা রকম অন্যায় কাজটা করতে হচ্ছে।’’ পুলিশের কোনও স্তরের কোনও আধিকারিকই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথার জবাব দিতে মুখ খুলেছেন নবগ্রামের বিধায়ক তৃণমূলের কানাইচন্দ্র মণ্ডল। তবে সুর ছিল অনেকটাই নরম। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অকারণ মিথ্যাচার করছেন। এটা অপরাধ। অসত্য বলছেন। মিথ্যা বলছেন। উনি তো হাফ এমএলএ। পুনর্নির্বাচনের মামলা তো আদালতে ঝুলছে। তাই হাফ এমএলএ কী বলে বেড়াচ্ছেন, তাকে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছি না। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫২ হাজারে এগিয়ে ছিলেন সুব্রত সাহা। এবারে তার চেয়েও বেশি ভোট তৃণমূল পাবে, এটুকু বলতে পারি। অভিষেকের জনসভা তার মাইলস্টোন হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement