Bomb Blast at Domkol

জমি দখল নিয়ে বোমার পর বোমা পড়ল ডোমকলে! নাম জড়াল তৃণমূল নেতার, কী বলছে শাসকশিবির?

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের টাউন সভাপতি ক্ষমতা দেখিয়ে কয়েক জনের চাষের জমির মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার উপর বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন। এ নিয়েই শুরু হয় বিবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৭:৩২
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

জমির ধারে আলপথের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জিৎপুর-নতুনপাড়া এলাকা। বুধবার একটি রাস্তা ঘিরে বাঁশের বেড়া দিয়ে দেওয়া নিয়ে ওই বিবাদের সূত্রপাত। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের সামনেই এক পক্ষ অন্যের দিকে বোমা ছোড়ে। আর এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের এক নেতার। যদিও অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হতাহতেরও কোনও খবর মেলেনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিৎপুর- নতুনপাড়া এলাকায় একটি চাষের জমির মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া আলের ধারের রাস্তা ঘেরাকে কেন্দ্র করে ডোমকল টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কামরুজ্জামান এবং তাঁর কিছু অনুগামীদের সঙ্গে ওই গ্রামেরই কয়েক জন বাসিন্দার বিবাদ চলছিল। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের টাউন সভাপতি ক্ষমতা দেখিয়ে কয়েক জনের চাষের জমির মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার উপর বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আগে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করতাম। কিন্তু এই অন্যায় কাজের জন্য আমরা আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়াচ্ছি না। আজ (বুধবার) সকালে কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে রফিক, সান্টু-সহ আরও বেশ কিছু দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি করে।’’

Advertisement

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা কামরুজ্জামান। তার পাল্টা দাবি, ‘‘ওই গ্রামেরই কয়েক জন দুষ্কৃতী অন্যায় ভাবে বেশ কিছু চাষের জমি ১৫ বছর ধরে দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যাপারটি মিটিয়ে ফেলা হয়। জমির প্রকৃত মলিকরা পাট কাটতে গেলে ওই দুষ্কৃতীরা তাদের বাধা দেয়।’’ অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, পারিবারিক বিবাদের ঘটনায় অশান্তি হয়েছে। এখানে শাসকদল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে বোমাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনও বিবৃতি দেয়নি তারা। এখন উপদ্রুত এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement