Train Derailment

আবার অঘটন, আবার সেই রাঙাপানি! কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে লাইনচ্যুত মালগাড়ি

মাত্র দেড় মাস আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতে। বুধবার আবার দুর্ঘটনা। এ বার একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হল। রেললাইন থেকে নেমে যায় দু’টি ওয়াগন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফাঁসিদেওয়া (শিলিগুড়ি) শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১২:১৩
Share:

রাঙাপানিতে লাইনচ্যুত মালগাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

আবার সেই ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি। আবার ট্রেন দুর্ঘটনা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে এ বার একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হল। এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে আপাতত ওই লাইনে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে তেলবোঝাই একটি মালগাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অদূরে রাঙাপানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। দুটি ওয়াগন রেললাইন থেকে নীচে নেমে যায়। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। হতাহতেরও খবর নেই। কিন্তু দেড় মাস আগে ওই জায়গায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা এবং মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বেলাইনের ঘটনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মালগাড়িটিকে সরিয়ে রেললাইন সারানোর কাজে হাত লাগানো হয়েছে। তবে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

ওই দুর্ঘটনার পরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, ‘‘মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল রাঙাপানিতে। সেখানে আবারও রেল দুর্ঘটনা! যা ঘটছে, তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত।’’

Advertisement

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, বুধবারের দুর্ঘটনার পরে শিলিগুড়ি-বাগডোগরা লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু ট্রেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘মালগাড়ির দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এর ফলে আপ এবং ডাউন লাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’’

গত ১৭ জুন, সোমবার আগরতলা থেকে শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল দূরপাল্লার ট্রেনটি। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে আচমকা ওই ট্রেনটিকে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কামরা মালবাহী ট্রেনের। ওই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।

মৃতদের মধ্যে ছিলেন মালগাড়ির চালকও। আহত হন ৪১ জনের বেশি। দুর্ঘটনার দিনই রেলের তরফে একাধিক কর্তা অভিযোগ করেছিলেন, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। রেলকর্মীদের একাংশ দাবি করেন, যে ‘কাগুজে সিগন্যাল’ রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার দিয়েছিলেন মালগাড়ির চালককে, সেখানে গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের কথা লেখা ছিল না।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস। বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনের অন্তত ১৮টি কামরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে জায়গায় মুম্বইগামী ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তার কাছেই একটি মালগাড়িও বেলাইন হয়। ওই দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই রাঙাপানিতে মালগাড়ি দুর্ঘটনা হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement