প্রতীকী চিত্র।
বিস্ফোরণের চোটে কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির ছাদ উড়ে গেল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার ঝুনকা-মাঠপাড়া গ্রামে। সোমবার এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ইতিমধ্যে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলডাঙার ঝুনকা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ কামাল পাশা নামে এক কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচণ্ড আওয়াজ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় লন্ডভন্ড অবস্থা। বাড়ির ছাদের একাংশ ধসে গিয়েছে। এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে জিনিসপত্র। হতাহতের কোনও খবর-না মিললেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলেছে শাসকদল।
নিজেকে কংগ্রেস কর্মী দাবি করে কামাল বলেন, ‘‘শুকুর আলি, হাবিবুর শেখ-সহ আমাদের গ্রামের আরও কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক আমার বাড়ির পাশে বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল। আজ (সোমবার) সকালে সেই বোমা ফেটে গিয়েছে।’’ এ নিয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানান। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাবিবুর শেখ বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে অশান্তি সষ্টি করতে বোমা মজুত করছিলেন কংগ্রেস কর্মীরাই। সেই বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ।’’
রবিবার মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের নাজিরপুরে মজুত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বার বেলডাঙাতেও একই অভিযোগ ঘিরে সরগরম এলাকা। রবিবার সকালে রেজিনগর থানার ছেতিয়ানি ঘোষপাড়া বাঁধেরধার এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ড্রাম তাজা বোমা। তাতে ২৩টি বোমা ছিল। সোমবার সকালেও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। পর পর দুই দিনে প্রায় ৫০টি বোমাউদ্ধারের ঘটনায় শঙ্কিত স্থানীয়েরা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।