arrest

Kidnap: ব্যবসায়ী অপহরণে অভিযুক্ত খোদ পুলিশই, ধৃত এএসআই-এর পরিবার বলছে, ‘সব ষড়যন্ত্র’

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৭ মে অভিযোগ দায়ের হলেও তার এক দিন পরেই অর্থাৎ ১৯ তারিখ মনিরুলকে ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নদিয়া শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২২ ২৩:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার ১৫ দিন পর ২ জুন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে জেল হেফাজতেরও নির্দেশ দিলেন বিচারক।

Advertisement

নদিয়ার পলাশিপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। গত ১৭ মে স্থানীয় ভুসিমাল ব্যবসায়ী মনিরুল শেখকে অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের হয় কালীগঞ্জ থানায়। ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, গত ১৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ চারচাকার গাড়িতে তিন জন এসে মনিরুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। যে তিন জন বাড়িতে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন বলেও থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছে মনিরুলের পরিবার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৭ মে অভিযোগ দায়ের হলেও তার দু’দিন পরেই অর্থাৎ ১৯ তারিখ মনিরুলকে ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। এর পর বাড়িও ফিরে আসেন ব্যবসায়ী। মনিরুল বলেন, ‘‘আমাকে বাড়ি থেকে তোলার সময় ভেবেছিলাম, ওঁরা পুলিশ। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর বুঝি, আমায় অপহরণ করা হয়েছে। দু’কোটি টাকার মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছিল।’’

Advertisement

পুলিশের তরফে জানানো হয়, মনিরুল ফিরে আসার পরেও তদন্ত জারি রাখা হয়েছিল। তদন্তের প্রথম ধাপ হিসাবে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। তার পর সেই সূত্র ধরেই চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় চটাই শেখ ও সুকান্ত কর্মকার নামে দুই স্থানীয় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানার এএসআই আমির মেহেবুল্লাকে। প্রসঙ্গত, আমির নদিয়ারই বাসিন্দা।

এই গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ধৃতেরা। গ্রেফতার হওয়া পুলিশ আধিকারিক আমিরের স্ত্রীর সালমা থাতুনের দাবি, ‘‘ভুসিমালের ব্যবসার আড়ালে মনিরুল মাদক পাচার-চক্রের সঙ্গে জড়িত। তা ফাঁস করতে চাইছিলেন এলাকায় ‘সমাজসেবী’ বলে পরিচিত সুকান্ত। আর সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করছিলেন আমির। ওঁদের আটকাতেই ষড়যন্ত্রের ছক কষে অপহরণের গল্প ফাঁদে মনিরুল। সুকান্ত আর আমিরকে ফাঁসাতেই পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে অপহরণের নাটক করা হয়েছে।’’

মনিরুলের অপহরণের দাবিতে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে বলেও দাবি করেন ধৃতেরা। তাঁদের বক্তব্য, অপহরণের ঘটনা যদি ১৫ মে ঘটে থাকে, তা হলে অভিযোগ দায়ের করতে কেন দু’দিন সময় লেগে গেল? অন্যদিকে, তাঁর সঙ্গে মাদক চক্রের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন মনিরুল।

পুলিশের বক্তব্য, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। শুক্রবার ধৃত ৩ জনকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে হাজির করানো হলে তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement