ফাইল ছবি।
জিটিএ ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে বিতর্কে জেরে শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দলের কার্যকরী সভাপতি লোপসাং লামা মোর্চা ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মোর্চার ভোটের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত ভুল। বিরোধিতা করতে হলে প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই তা করা বিধেয়। পাল্টা মোর্চার দাবি, ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তই ঠিক।
সদ্য দলের কার্যকরী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জলঢাকা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন লোপসাং। নির্দল প্রার্থী বলেন, ‘‘জিটিএ-র বিরোধিতা করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিন্তু লোক দেখানো বিরোধিতা করে লাভ নেই। ভেতরে থেকে প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করতে হবে৷ সে জন্যই পাহাড়বাসীর ভালর কথা ভেবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জিতে জিটিএ-র ভিতর থেকে তার বিরোধিতা করব।’’ মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার বলার কিছু নেই।’’
সূত্রের খবর, মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং বর্তমানে সিকিমে আছেন। তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ। রোশন বলেন, ‘‘বিমল গুরুং এই মুহুর্তে সুস্থ৷ তাঁর সিদ্ধান্ত মেনেই আমরা জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেব না।’’ ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলো অবশ্য মোর্চার এই সিদ্ধান্তের পিছনে গুরুংয়ের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ করছে।
জিটিএ ভোটে ৪৫টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে হামরো পার্টি ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ১০ আসনে লড়বে তৃণমূল।