Murder Investigation

জঙ্গিপুরে স্ত্রী’র প্রেমিককে খুনের আগেও ছুরি নিয়ে ঘোরাঘুরি! পুলিশের সন্দেহ, দীর্ঘদিনের প্রতিশোধস্পৃহা

মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি খুনের মামলায় সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করেছে শুভ মাঝি নামে এক ব্যক্তিকে। স্ত্রী’র প্রেমিককে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রীর প্রেমিককে খুনের অভিযোগে কিছু দিন আগেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। উদ্ধার হয়েছে একটি ধারালো অস্ত্রও। তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, খুনের মামলায় বেশ কিছু তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বামী দীর্ঘ দিন ধরেই খুনের পরিকল্পনা করছিলেন।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানার তালাইয়ের শেলালপুর গ্রামে গলার নলি কেটে খুন করা হয় বিশাল দাসকে (২৫)। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মৃতের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শ্রাবণী মাঝি। দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামীর ঘর আগেই ছেড়েছিলেন মহিলা। তাঁর স্বামীই বিশালকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর শুভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই শুভকে একটি ছুরি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর থেকে মাঝে মধ্যেই তিনি অসংলগ্ন আচরণ করতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই শুভ ও শ্রাবণীর দাম্পত্য কলহ চলছিল। সেই সময়েই শ্রাবণীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। এর পর মহিলা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে, গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে মহিলাকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার নিদান দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, স্বামীর বারংবার চেষ্টাতেও স্ত্রী বাড়ি ফেরেননি। শুভ মাঝে এক বার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এলাকাবাসীদের দাবি, ঘটনার রাতে নিজের দাদার উপর হামলা চালিয়েছিলেন শুভ। মারধর করে দাদার মাথা ফাটিয়েও দেন। তার পর স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও হন ওই যুবক। তখন শ্রাবণী ও বিশাল উভয়েই ঘুমোচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়েই বিশালকে খুন করেন শুভ। শ্রাবণী জানিয়েছেন, বিশালের চিৎকারে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন, শুভ ঘর থেকে বার হয়ে যাচ্ছেন। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেছেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই ঘটনায় একাধিক দিক জুড়ে রয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement