—প্রতীকী চিত্র।
স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই রাস্তায় আগেই ওত পেতে ছিল পুলিশ। কিন্তু স্কুটি আরোহীর গতিবিধিতে তাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। তবে তাদের চোখ আটকাল স্কুটির নম্বর প্লেটে। স্কুটি থামিয়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ‘অন্য খোঁজ’ পেল পুলিশ। উদ্ধার হল ৩৫০ গ্রাম হেরোইন এবং ১০ কেজি মাদক তৈরির কাঁচামাল। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রেজিনগরের তকিপুর মাঠপাড়া চৌরাস্তা দিয়ে স্কুটি করে যাচ্ছিলেন ৩০ বছরের আনারুল শেখ। তিনি বেলডাঙা থানার সুরুলিয়া বটতলা পাড়ার বাসিন্দা। গোপন সূত্রে মাদক পাচারের খবর পেয়ে আগে থেকে ওই রাস্তায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। নাকা তল্লাশি চলাকালীন আনারুলের নম্বরবিহীন গাড়ি দেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। দু’এক কথার পর আনারুলকে সন্দেহ হয় পুলিশের। এর পরই তাঁর ওই সেই স্কুটির ডিকি থেকেই উদ্ধার হয় হেরোইন এবং মাদক তৈরির কাঁচামাল। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তল্লাশি অভিযানে মাদক উদ্ধারের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেজিনগর থানা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক রামপাড়া থেকে রেজিনগরের দিকে যাচ্ছিল। তাঁর স্কুটির কোনও নম্বর প্লেট নেই কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। তার পর সন্দেহভাজন যুবকের স্কুটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫০ গ্রাম হেরোইন এবং পাঁচ কিলোগ্রাম হেরোইন তৈরির জিনিস মেলে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর তোলা হয় বহরমপুর আদালতে। রবিবার ধৃতের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। তবে শেষে অভিযুক্তের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বেলডাঙা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সন্দীপ গড়াই বলেন, ‘‘ধৃত ওই ব্যক্তিকে পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে তিনি ওই নেশার সামগ্রী নিয়ে আসছিলেন, কোথায় সেগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন, এই মাদক পাচারের সঙ্গে বড় কোনও চক্রের যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।