—প্রতীকী চিত্র।
ফাঁকা রাস্তায় বাস ছুটছে, হঠাৎ চিন চিন করে উঠল বুক। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ব্যথা বাড়ল। তার পর স্টিয়ারিংয়ের উপরেই লুটিয়ে পড়লেন চালক। তবে যাওয়ার আগে তিনি যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়ে গেলেন দক্ষ হাতে।
ঘটনাটি ওড়িশার কন্ধমল জেলার পাবুরিয়া গ্রামের কাছে। শুক্রবার রাতে সেই পথে একটি বাস ভুবনেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। বাসের চালক হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পড়ে যান। বাসের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ তাঁর হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাসচালকের নাম সানা প্রধান। ‘মা লক্ষ্মী’ নামের বেসরকারি বাসটি প্রতি রাতেই কান্ধামালের সারঙ্গড় থেকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত যায়। সেই বাসই চালাতেন সানা। বুকে ব্যথা বাড়তে থাকলে তিনি বুঝতে পারেন, বিপদ ঘনিয়ে আসছে। তৎক্ষণাৎ ঠিক করে ফেলেন তাঁকে কী করতে হবে। বাসের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফলে তিনি নিকটবর্তী একটি দেওয়ালে বাসটিকে ধাক্কা খাওয়ান। তা ছাড়া বাসটিকে দাঁড় করানোর আর কোনও উপায় তিনি খুঁজে পাননি।
এর ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বাসের যাত্রীরা। ওই বাসে সে সময় ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামান্য আঘাত ছাড়া কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।
বাসচালককে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই বাসের জন্য অন্য চালকের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন। মৃত বাসচালকের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।