বীরভূমের সিউড়িতে পাথর দিয়ে খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ ইমরান। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা যাওয়ার ছক ছিল তাঁর। তার আগেই সিউড়ির চুড়িপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ।
ইমরানকে সিউড়ি রেল স্টেশন লাগোয়া একটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, শেখ মোবারক বলে আরও এক যুবকের খোঁজে জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভিতে দেখা যায়, ওই যুবক পাথর দিয়ে আঘাত করছেন কুতুবউদ্দিনকে। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সিউড়ি থানার কলেজপাড়া মোড় এলাকায় এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে মৃতের পরিচয় জানা যায়। জানা যায়, মৃতের নাম শেখ কুতুবউদ্দিন। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়া থানা এলাকার নবডাঙাল গ্রামে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে দু’জন যুবককে আটক করে পুলিশ। তার পরেই ইমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খুনের কারণ হিসাবে উঠে আসছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুতুবউদ্দিন প্রায়শই সিউড়ি শহরের কালীপুর গ্রামে যেতেন। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, খুনের নেপথ্যে সেই তরুণী রয়েছে। কুতুবউদ্দিনের দিদি হীরা বিবি জানান, তাঁর ভাই বিবাহিত। কুতুবউদ্দিনের এক সন্তানও আছে। হীরার দাবি, ‘‘গত চার-পাঁচ বছর ধরে কালীপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভাইয়ের। আগে ও ফোন করলে ছুটে যেত ভাই।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ফোন করে ভয় দেখাত তরুণী। বলত, না এলে ফাঁসিয়ে দেব। আমাকেও হুমকি দিয়েছে। বলেছে, ভাইকে মেরে ফেলব। ভাই সব টাকা ওকে দিত। ওই মেয়েটিই ভাইকে খুন করিয়েছে।’’ এখন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের প্রকৃত কারণ জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কেউ সুপারি দিয়েছিলেন কি না, সেটাও তদন্তসাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে পুলিশ।