baharampur muder case

Murder: নিরাপত্তা শিকেয়, নেই ট্রেড লাইসেন্স, বহরমপুরে ‘মেস শিল্প’ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

বহরমপুরে শিক্ষার পরিকাঠামো অনেক দিনই উন্নত। ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণনাথ কলেজ, বহরমপুর কমার্স কলেজ, বহরমপুর গার্লস কলেজ, মুর্শিদাবাদ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মতো  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য শুধুমাত্র জেলা নয়, জেলার বাইরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পড়ুয়াদের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ১৫:৫৭
Share:

ফাইল ছবি

সোমবার ভর সন্ধ্যায় বহরমপুরের অত্যন্ত জনবহুল এলাকা কাত্যায়নীর গলিতে মেসের এক আবাসিককে খুন করা হয়েছে। তার পরই উঠে আসছে বহরমপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মেসগুলির নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।

বহরমপুরে শিক্ষার পরিকাঠামো অনেক দিনই উন্নত। ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণনাথ কলেজ, বহরমপুর কমার্স কলেজ, বহরমপুর গার্লস কলেজ, মুর্শিদাবাদ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য শুধুমাত্র জেলা নয়, জেলার বাইরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পড়ুয়াদের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু বাড়েনি সরকারি হোস্টেলের আসন সংখ্যা।

Advertisement

তাই পডুয়াদের ভরসা মেস। যার বেশির ভাগেরই কোনও অনুমোদন নেই। শহরে ঠিক কত মেস রয়েছে, সেই তথ্য নেই প্রশাসনের কাছেও ।
অনেকেই তাঁদের অতিরিক্ত ঘরে কয়েকটি খাট ঢুকিয়ে মেস বানিয়ে ফেলেন। শুধু মাত্র এক কামরার ঘর ভাড়া দিলে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু একটি ঘরে অন্তত পাঁচটি বেডের সংস্থান হয় অনায়াসে। যা থেকে আয় হতে পারে ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা। বাড়তি আয়ের লোভে তাই গজিয়ে উঠছে একের পর এক মেস।

এই মেসগুলির কোনওটিতেই নজরদারি ক্যামেরা নেই। আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আসা-যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকাও নেই। বাইরের ছেলেমেয়েদের অবাধ আনাগোনা থাকে মেসে। থাকেন না কোনও নিরাপত্তারক্ষীও। বিশেষত মেয়েদের মেসগুলিতে নজরদারির অভাব চোখে পড়ার মতো।

Advertisement

বহরমপুর গোরাবাজারে দীর্ঘদিনের প্রাচীন শান্তি গার্লস হস্টেলের আবাসিক সংখ্যা প্রায় ৫০। রেজিস্টারের দেওয়া ফোন নম্বর যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশের কোনও অস্তিত্ব নেই। কৃষ্ণনাথ কলেজের কাছে ঐতিহ্যবাহী ‘গৌর ধাম’ মেসেরও একই অবস্থা। মেসের মূল ফটকে তালা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। কোনও নজরদারির ব্যবস্থাও নেই। মালিকদের বক্তব্য, বেশি কড়াকড়ি করলে আবাসিক পাওয়া যাবে না।

পুরসভা এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই মেস চালান। তা থাকলে অন্তত আমাদের কাছে হিসেবটা থাকে।’’
ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সমস্ত মেসগুলিকে আবাসিকদের নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement