Murder Case

বকেয়া দেওয়ার নাম করে কলকাতায় ছাদ থেকে ফেলে খুনের অভিযোগ ডোমকলের নির্মাণকর্মীকে!

পরিবার সূত্রে খবর, ভিন্‌রাজ্যে দীর্ঘদিন রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আক্তারুল। তবে বছর খানেক ধরে কলকাতায় এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন আক্তারুল। কিন্তু ঠিকমতো মজুরি না পাওয়ায় কাজ ছেড়ে বাড়িও চলে আসেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ২২:২০
Share:

মৃত ওই শ্রমিকের পরিবারের অভিযোগ, দিন দশেক আগে পাওনা মজুরি দেওয়ার জন্য ফোন করে আক্তারুলকে ডাকেন এক ঠিকাদার। তার পর এই মৃত্যু সংবাদ আসে। —প্রতীকী চিত্র।

কলকাতায় কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক নির্মাণ শ্রমিকের। বিধাননগর কমিশনারেটের এয়ারপোর্ট থানার গোপালপুর এলাকার ঘটনা। মৃত শ্রমিকের নাম আক্তারুল সেখ ওরফে মেজু (৪২)। আক্তারুলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের কুশাবেড়িয়া এলাকায়। মেজুর বাড়ির লোকের অভিযোগ, তিন মাসের বকেয়া মজুরি দেওয়ার নাম করে তাঁকে ডেকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে আক্তারুলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে তার আক্তারুলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ভিন্‌রাজ্যে দীর্ঘদিন রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আক্তারুল। তবে বছর খানেক ধরে কলকাতায় এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন আক্তারুল। কিন্তু ঠিকমতো মজুরি না পাওয়ায় কাজ ছেড়ে বাড়িও চলে আসেন তিনি।

মৃত শ্রমিকের পরিবারের অভিযোগ, দিন দশেক আগে পাওনা মজুরি দেওয়ার জন্য ফোন করে আক্তারুলকে ডাকেন এক ঠিকাদার। রবিবার গভীর রাতে আক্তারুলের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় যে ছাদ থেকে পরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরে সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের তরফেও পরিবারের কাছে খবর আসে মৃত্যু হয়েছে আক্তারুলের। তবে একে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ আক্তারুলের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের আত্মীয় রেজাউল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি যে বারাসাত হাসপাতালর চিকিৎসকরা মেজুকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। তবে দেহ দেখে মনে হচ্ছে না এটা দুর্ঘটনা।’’ ফরমান মণ্ডল নামে আর এক আত্মীয়ের অভিযোগ, ‘‘ওর তিন মাসের মজুরি বাকি ছিল। সেই টাকা দেবে বলে ডেকে ঠিকাদার ওকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করেছে। এর আগেও বকেয়া মজুরি ঝামেলা হয়েছে ওদের।’’ পরিবার সূত্রে খবর, এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement