কর্মচারীদের কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে। সেই সময় এক জন বোবা-পাগল সেজে অফিসে হাজির হন। —নিজস্ব চিত্র।
বোবা, পাগল সেজে পোস্টঅফিসে ঢুকেছিল চোর। কৃষ্ণনগর প্রধান পোস্টঅফিসে তখন লোকজনে ভরা। আধিকারিকরাও নিজেদের কাজে ব্যস্ত। এরই মধ্যে এক কর্মীর টেবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিল চোর। মঙ্গলবার এমন চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের। পোস্টঅফিস কর্তৃপক্ষের তরফে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগর প্রধান পোস্টঅফিস খোলে। অন্যান্য দিনের মতো প্রচণ্ড ভিড় ছিল অফিসে। কর্মচারীদের কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে। সেই সময় এক ‘বোবা-পাগল’ অফিসে এসে হাজির হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তাঁর হাতে ছিল দুটো সাদা কাগজ। বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে আকার ইঙ্গিতে কথা বলার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। পোস্টঅফিসের এক কর্মী বলেন, ‘‘ওঁর আচার আচরণ প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল। কিন্তু আমরা প্রথমে আর পাঁচজন সাধারণ গ্রাহক ভেবেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ওই ব্যক্তি পিএলআই কেবিনে ঢুকে পড়েন। তখন সেখানে এক কর্মী সবেমাত্র ৫০ হাজার টাকা টেবিলে রেখেছিলেন। টাকাগুলো দ্রুত সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথাও ছিল। ওই ব্যক্তি তাঁর হাতের সাদা কাগজটি টেবিলে রাখা টাকার বান্ডিলের উপর ফেলে দেন। কর্মচারীরা ওঁকে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলেছিলেন। তারই মধ্যে টাকার বান্ডিল নিয়ে চম্পট দেন উনি।’’ কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফেরে কর্মীদের। তাঁরা দেখেন টেবিলের উপর রাখা টাকাগুলো আর নেই। সঙ্গে সঙ্গে পোস্টঅফিসের ভিতরে হইচই শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে পড়ে অন্য এক সমস্যায়। তারা দেখে অফিসের বেশির ভাগ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাই খারাপ। যেগুলো চলছিল, তার আবার রেকর্ডিং চালু ছিল না। ফলে ওই চোরকে চিহ্নিত করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এই চুরির ঘটনা নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।’’