ফাইল চিত্র।
আগেই প্রকাশিত হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া কৃষ্ণনগর ও চাকদহ পুরসভার আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা। শুক্রবার বাকি আটটি পুরসভা ও নোটিফায়েড এরিয়ার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকাও প্রকাশিত হল। এক মাত্র কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ার মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত থাকায়, তা রইল এই তালিকার বাইরে।
প্রতি বারই মহিলা এবং তফলিসি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষণের পরিবর্তনে বেশ কিছু ওয়ার্ডে আগের কাউন্সিলর দাঁড়াতে পারেন না। বাদ পড়ে যায় কিছু ভারী নামও। পুরপ্রধান বা উপ-পুরপ্রধানও তার ব্যতিক্রম নন। এ বারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না।
কৃষ্ণনগর পুরসভার জন্য প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনয় হালদার নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ, তাঁর ওয়ার্ডটি তফসিলি জনজাতির মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শিশির কর্মকার, ১১ নম্বরে নিত্যানন্দ প্রামাণিক এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্বপন সাহাও আর প্রার্থী হতে পারবেন না। এই ওয়ার্ডগুলি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। চাকদহ পুরসভার চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছেন উপ-পুরপ্রধান সুকুমার রায়। তাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
এর বাইরে নবদ্বীপ, শান্তিপুর, রানাঘাট, বীরনগর, গয়েশপুর, হরিণঘাটা, কল্যাণী ও তাহেরপুর পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে। ফলে সেখানেও নির্বাচন আসন্ন। এই আট পুরসভার জন্যই খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে এ দিন। এই তালিকাই যদি চূড়ান্ত হয়, তবে এই আটটিতেও বেশ কয়েক জন ‘হেভিওয়েট’ কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এই খসড়া তালিকার শীর্ষে আছেন নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা। তাঁর ৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। রানাঘাট পুরসভার উপ-পুরপ্রধান বিজয়প্রসাদ মল্লিকও সম্ভবত নিজের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে। তাহেরপুরের উপ-পুরপ্রধান বঙ্কিম চক্রবর্তীর ১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। নবদ্বীপের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সম্ভবত অনুরাধা মুখোপাধ্যায়ের আর দাঁড়ানো হচ্ছে না। ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। নরোত্তম সাহা রায়ের ২১ নম্বর ওয়ার্ড, বিজনকুমার দেবনাথের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। আবার তুষার ভট্টাচার্যের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। শান্তিপুর পুরসভায় যতন সরকারের ৪ নম্বর ওয়ার্ড, সৌমেন মাহাতোর ১১ নম্বর ওয়ার্ড এবং সাহাজাহান শেখের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং গয়েশপুরে সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।