স্ত্রীকে খুনের পর নিজেকেও শেষ করে দিয়েছেন স্বামী। —প্রতীকী চিত্র।
দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে খুন করে রেললাইনে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কুটিরপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় পেশায় দিনমজুর জয়ন্ত সর্দার এবং দিপালীর। যুগলের দু’টি নাবালক সন্তানও রয়েছে। তাদের এক জনের বয়স ৯ এবং অন্য জনের বয়স ৫ বছর। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে আদালতেও মামলা গড়িয়েছে। শনিবার সকালে ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় দিপালীর রক্তাক্ত দেহ। এর পরে জয়ন্তের দেহ উদ্ধার হয় রেল লাইন থেকে।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন জয়ন্ত। কিন্তু দু’জনের কেউ আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজখবর করে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা মাঠে দীপালির গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর পরে রেললাইন থেকে পাওয়া যায় দিপালীর স্বামী জয়ন্তের দেহও।
মৃতার মা বুলবুলি সর্দার বলেন, ‘‘আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার দরুণ জামাইয়ের মা ও দাদা মেয়েকে বাড়িতে থাকতে দিত না। খারাপ ব্যবহার করত ওর সঙ্গে। জামাই বাধ্য হয়ে মাথা ঠিক না রাখতে না পেরে এমন কাজ করেছে। ওদের দু’জনের চরম শাস্তি চাই।’’
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’