Jammu and Kashmir

গত বছরে কাশ্মীরে নিহত জঙ্গিদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি! সেনাকে চিন্তায় রাখছে মূলত দু’টি অঞ্চল

জম্মু ও কাশ্মীরে গত বছরে মৃত জঙ্গিদের মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানি। কাশ্মীরের দু’টি অঞ্চলে গত কয়েক মাসে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩০
Share:

জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি। —ফাইল চিত্র।

জম্মু ও কাশ্মীরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের প্রায় ৮০ শতাংশই পাকিস্তানি। গত বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত জঙ্গিদের মধ্যেও প্রায় ৬০ শতাংশ পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। সোমবার এ কথা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি আরও জানান, কাশ্মীর উপত্যকায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চলছে বলে মত সেনাপ্রধানের।

Advertisement

কাশ্মীর উপত্যকা এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অঞ্চলে বর্তমান পরিস্থিতির উপর সোমবার আলোকপাত করেন সেনাপ্রধান। তিনি জানান, মজুত করার জন্য অস্ত্রশস্ত্র পাচারের উদ্দেশ্যে অনেক সময়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহারের চেষ্টা হয়েছে। কখনও আবার ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে উত্তর কাশ্মীর এবং ডোডা-কিস্তওয়ার অঞ্চলের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেনাপ্রধানের কথায়, গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে সামগ্রিক ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানান তিনি। উদাহরণ হিসাবে গত বছরে উপত্যকায় লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন এবং অমরনাথ যাত্রার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। সেনাপ্রধান জানান, গত বছরে পাঁচ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী অমরনাথ যাত্রা করেছেন। নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটেছে। উপত্যকার পরিস্থিতি সন্ত্রাসবাদ থেকে পর্যটনের দিকে ঘুরতে শুরু করেছে বলে মনে করছে তিনি।

Advertisement

ঘটনাচক্রে সোমবারই কাশ্মীরের সোনমার্গে জ়েড-মোড় সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সুড়ঙ্গের ফলে সব ঋতুতে কাশ্মীর ও লাদাখের মধ্যে যোগাযোগের পথ খুলে যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৬৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই সুড়ঙ্গ প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ। মূল সুড়ঙ্গ ছাড়াও রয়েছে দ্বিতীয় একটি সুড়ঙ্গ এবং আশপাশের রাস্তা। ফলে যেমন সুবিধে হবে সেনাবাহিনীর, তেমনই জম্মু-কাশ্মীরের সামাজিক-সাংস্কৃতিক যোগ বাড়বে। হবে আর্থিক বৃদ্ধিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement