তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, অনুব্রত আসানসোল জেলে থাকার সময় সিউড়ির ওই আইসি-র সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছেন। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ পুলিশ আধিকারিক শেখ মহম্মদ। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে সিউড়ি থানার আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর। এ-ও জানা যাচ্ছে যে, তাঁর ব্যাঙ্কের নথিপত্রও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
এর আগে গত ১৪ মার্চ সিউড়ি থানার আইসিকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সে বার কয়লা পাচার মামলায় বেশ কিছু তথ্য জানতে ওই পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ বার গরু পাচার মামলাতেও ওই পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইডির দাবি, অনুব্রত এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সঙ্গে অন্যান্য পুলিশ অফিসারের যোগাযোগ করিয়ে দিতেন মহম্মদ আলি। এ সংক্রান্ত নানা তথ্য জানতে পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। অফিসারের আয় সংক্রান্ত এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের নথি দেখবে ইডি।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, অনুব্রত আসানসোল জেলে থাকার সময় সিউড়ির ওই আইসি-র সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছেন। আবার গত বছরের শিবঠাকুর মণ্ডলের দায়ের করা মামলায় গত ২০ ডিসেম্বর আচমকা যখন দুবরাজপুর থানার পুলিশ অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছিল, সেখানেও এই ওসির ভূমিকা ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি।
এর আগে গরু পাচার মামলায় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃপাময় নন্দীকে তলব করেছে ইডি। আগামী ৫ এপ্রিল তাঁরও দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা।