বার বার তিন বার অপহৃতা নাবালিকা! প্রতি বারই অপহরণকারী একই। —প্রতীকী চিত্র।
আগে দু’বার অপহরণ করা হয়েছিল। দু’বারই খুঁজে এনেছিল পরিবার। সেই নাবালিকাকে আবারও অপহরণের অভিযোগে এ বার পুলিশের দ্বারস্থ হল পরিবার। তাদের অভিযোগ, প্রতি বারই এক যুবকই তাদের মেয়েকে অপহরণ করেছেন। নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভা এলাকার ঘটনা।
ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ‘‘এই নিয়ে তৃতীয় বার অপহরণ করা হয়েছে আমাদের মেয়েকে। তিন বারই অভিযুক্ত এক। তিনি নদিয়ার শান্তিপুরের এক যুবক।’’ তাঁরা জানান, গত ৩ মার্চ থেকে মেয়ের আর খোঁজ পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা চাইল্ড লাইনেও অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার মা। এখন পুলিশ এবং চাইল্ড লাইন তদন্ত করছে।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, শান্তিপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই চাপ দিচ্ছেন হবিবপুরের পূর্ব পাড়ার এক বাসিন্দা। বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করায় এর আগেও দু’বার নাবালিকাকে অপহরণ করেছেন তিনি। এ বারও মেয়ের নিখোঁজের পিছনে নির্ঘাৎ ওই যুবকই আছেন বলে দাবি তাঁদের। তাঁরা জানান, প্রথম বার ওই যুবকের পৈতৃক বাড়ি বাগানিপাড়া থেকে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পরের বার ওই যুবকের বর্তমান ঠিকানা অর্থাৎ, রাঘবপুর পূর্বপাড়া থেকে ওই নাবালিকাকে খুঁজে পান তাঁরা। এ নিয়ে সালিশি সভা হয়। ভেবেছিলেন, এ বার সমস্যার সমাধান হবে। তাই পুলিশের কাছে আর অভিযোগ দায়ের করেননি। কিন্তু আবার ওই একই কাণ্ড!
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, ‘‘৩ মার্চ সন্ধ্যাবেলা টিউশনে গিয়েছিল মেয়ে। সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরেনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সূত্র মারফত খবর পেয়েছি, ওই ছেলেটিই আবার আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে।’’
নাবালিকার বাবা ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়ে অপহরণের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ ‘‘ছেলের পরিবারের অনুরোধে এর আগে দু’বার পুলিশে যাইনি। মেয়েকে যেদিন থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেদিন থেকেই ওই ছেলে এবং তার পরিবারের লোকজনও নিখোঁজ।’’
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার। যুবকের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। আর ওই মেয়ে কোথায় গিয়েছে, কার সঙ্গে গিয়েছে আমরা কিচ্ছু জানি না।’’
অন্য দিকে, নাবালিকার অপহরণ প্রসঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে পুলিশ।’’