পুলিশি অভিযানে ধৃত পাচারকারী। — নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশে পাচারের আগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা-সহ পুলিশের জালে চার মাদক পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মণিপুর, এক জন অসম এবং এক জন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ধৃতদের জেরা চালাচ্ছে। মাদকচক্রের পিছনে আর কেউ আছেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ৩ জন ২টি ব্যাগ নিয়ে পুরাতন ডাকবাংলা এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এর পর শমসেরগঞ্জ থানার একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ জনকে আটক করে। তাঁদের ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৯ হাজারেরও বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট। গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ মেলে স্থানীয় এক পাণ্ডার। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইম্ফলের বাসিন্দা মহম্মদ ফারুখ এবং মহম্মদ মিনারউদ্দিন নামে দুই যুবক মূল পাচারকারী। পাচারকারীদের নিরাপদে গন্তব্যের পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল অসমের হোসেন তালুকদারের। আবার মুর্শিদাবাদের সুতিতে পাচারকারীদের কাছ থেকে ট্যাবলেটগুলি সংগ্রহ করার কথা ছিল আকবর শেখ নামে এক জনের। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি উত্তরপূর্ব ভারত থেকে প্রতিটি ট্যাবলেট ২০ থেকে ২৫ টাকা দামে কেনা হত। মুর্শিদাবাদের সুতিতে প্রতিটি ট্যাবলেট ২১০ টাকা দামে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। আকবর কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে ওই মাদক বিক্রি করে ট্যাবলেট পিছু ৪৫০ টাকা দামে। ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারচক্রের একটি যোগ আছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
এ নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভিজি সতীশ পশুমার্থী বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে চার জন পাচারকারী এবং ১৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’