—প্রতীকী ছবি।
দু’বছর ধরে আসছিল কুপ্রস্তাব। রাজি হননি নদিয়ার গৃহবধূ। তাই প্রকাশ্য রাস্তায় ওই গৃহবধূকে ছুরি দিয়ে কোপানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার চাপড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলাকে রাস্তায় ফেলে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্ত যুবক স্বপন বিশ্বাসকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্ত গৃহবধূর বাপের বাড়ি নদিয়ার কোতোয়ালি থানার দৈয়ের বাজার এলাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি সেখান থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় ওই যুবক। অভিযুক্ত যুবক পিছন থেকে এসে ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে ছুরি দিয়ে কোপ মারতে থাকেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন রাস্তা শুনশান ছিল। গৃহবধূর আর্তনাদ শুনতে পেয়ে কয়েক জন ছুটে আসেন। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গৃহবধূর শরীরের একাধিক জায়গায় ছুরির আঘাতে গভীর ক্ষত হয়েছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ঘটনাস্থল থেকেই স্থানীয়রা ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশ।
আক্রান্ত ওই গৃহবধূর দাবি, বিগত দু’বছর ধরে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। মাঝে মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাবও দিতেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। আর সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণেই এই হামলা বলে তিনি দাবি করেছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘আক্রান্ত গৃহবধূর চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।’’