ভারত ‘বিস্ময়’ বালক-বালিকার সংখ্যা অনেক। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ যে শুধু সময়ের আগে পড়াশোনা শেষ করেছেন তা নয়, অনেকে অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।
ভারতের এমনই এক বিস্ময় বালিকা নয়না জায়সওয়াল। খুব কম সময়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষা শেষ করার নজির রয়েছে ভারতীয় এই কন্যার।
নয়না দেশের ‘সর্বকনিষ্ঠ’ মহিলা গবেষক। মাত্র ২২ বছরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
ক্রীড়াবিদ হিসাবেও নাম রয়েছে নয়নার। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে টেবল টেনিসে একাধিক পুরস্কার জেতার নজির রয়েছে তাঁর।
নয়নার জন্ম হায়দরাবাদে। মেয়ে যে অসামান্য প্রতিভার অধিকারী, তা খুব কম সময়েই বুঝে গিয়েছিলেন নয়নার বাবা-মা।
ভারতে পড়ুয়ারা সাধারণত ১৫-১৬ বছরে দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু নয়না ছিলেন অসাধারণ। মাত্র ৮ বছর বয়সেই তিনি দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেন।
১০ বছর বয়সে স্কুলের গণ্ডি টপকান নয়না। ভর্তি হন কলেজে। ১৩ বছর বয়সেই সংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন নিয়ে স্নাতক হন নয়না।
এর পর নয়না এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ মহিলা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপক হিসাবেও নজির গড়েছিলেন। ১৫ বছর বয়সে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এর পর আইন নিয়েও প়ড়াশোনা করেন নয়না।
নয়না সেখানেই থেমে থাকেননি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে গবেষণা শুরু করেন। ২২ বছর বয়সে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা গবেষক হন। নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণের অবদান নিয়ে গবেষণা করেন তিনি।
নয়না এক জন তারকা টেবল টেনিস খেলোয়াড়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে অনেক পদকও জিতেছেন।
এ ছাড়া কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে পারদর্শী নয়না। ৩ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ইংরেজি বর্ণমালার সব বর্ণ কম্পিউটারে টাইপ করতে সক্ষম তিনি।
মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি রান্না করার নজিরও রয়েছে নয়নার। পিয়ানোবাদক হিসাবেও সুনাম রয়েছে তাঁর।
সুবক্তা হিসাবেও ভারত এবং ভারতের বাইরে নাম রয়েছে নয়নার। অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা হিসাবে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান বক্তৃতা করেন।