Hanskhali

Hanskahli: হাঁসখালির ধর্ষিতার মা-কে সিবিআই জানাল, এফআইআরে আছে বাবা-দাদার নাম!

শুনে বিস্মিত ধর্ষিতার মা। নদিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য জানান, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই এফআইআরে ওই দু’জনের নাম রাখা হয়েছে।

Advertisement

প্রণয় ঘোষ

হাঁসখালি শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:০১
Share:

হাঁসখালির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! ফাইল ছবি।

সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল বয়ান রেকর্ডের জন্য। সেই সময়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা হাঁসখালির নির্যাতিতার মা-কে জানান, পুলিশের করা এফআইআরে তাঁর স্বামী এবং ভাসুরপোর নাম রয়েছে। সোমবার সিবিআইয়ের এই দাবি শুনে বিস্মিত হন নির্যাতিতার মা। পাল্টা তিনি দাবি করেন, পুলিশের কাছে তিনি এমন কোনও বক্তব্য বা অভিযোগ জানাননি। যদিও নদিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই এফআইআরে নাম রাখা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার সিবিআই নির্যাতিতার মায়ের আর এক দফা বয়ান রেকর্ড করতে ডেকে পাঠিয়েছিল। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা নির্যাতিতার মায়ের কাছে জানতে চান, তিনি কি জানেন, এফআইআরে তাঁর স্বামী, পরিবারের এক জন ও দুই প্রতিবেশীর নাম রয়েছে? নির্যাতিতার মা তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই। এমনকি পুলিশের কাছে তিনি এমন কারও নাম করেননি। সিবিআইয়ের কাছে এ কথা জানার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত ক্ষুব্ধ ও হতাশ নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন ‘‘পুলিশের পক্ষ থেকে কখনওই আমাকে জানানো হয়নি যে, ওই তিনজনের নাম এফআইআরে আছে।’’

জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই ওই তিন জনের নাম এফআইআরে রাখা হয়েছে। ওই পুলিশকর্তার দাবি, নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ওই দিন তাঁর মেয়ের দেহ পোড়ানোর সময় ঘটনাস্থলে স্বামী ছিলেন। ছিলেন তাঁর ভাসুরপো এবং দুই প্রতিবেশী। যে হেতু নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং ধর্ষণের মতো অভিযোগ রয়েছে, তাই এটি পকসো আইনের আওতায় আসে। সেই আইন অনুযায়ী, এমন দেহ পোড়ানোর অর্থ, দেহ লোপাট করার চেষ্টা। কাজেই ওই আইন অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে থাকা সকলের নাম এফআইআরে রাখা হয়েছে। নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের রেকর্ডও তাঁদের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement