Coochbehar

Mini tornado in Cooch Behar: ঝড়ে উড়ে আসা টিনে ধড়-মুণ্ড আলাদা যুবকের! ‘মিনি টর্নেডো’য় লন্ডভণ্ড কোচবিহার, মৃত ২

এখনও অবধি জানা গিয়েছে, ছ’হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ভেঙেছে। আহতের সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫২
Share:

এই ঘূর্ণিঝড়ে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা এলাকা। কোচবিহারে ১ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকায়, বিশেষ করে মোয়ামাড়ি, ঘুঘুমাড়ি, সুকটাবাড়ি, বড় শোলমারি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। এমন কি ২০ মিনিটের তুমুল ঝড়ে কোচবিহারের অন্যান্য অঞ্চলে বিশেষত, মাথাভাঙ্গার ২ নম্বর ব্লক, তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ব্লকে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।

এখনও অবধি জানা গিয়েছে, ছ’হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ভেঙেছে। আহতের সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশি। ঝড় থামার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গতকাল রাতেই গুরুতর আহতদের মধ্যে ৪২ জনকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। অনেকে হাসপাতালে গিয়েও প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছেন।

এই ঘূর্ণিঝড়ে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোয়ামাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছোট আঠারোকোটা এলাকার বাসিন্দা জহাঙ্গীর আলম এবং ঘুঘুমারি পালপাড়ার বাসিন্দা দেবদাস পালের মৃত্যু হয়েছে। গাছ পড়ে এক জনের মৃত্যু এবং ঝড়ে উড়ে আসা টিনে গলা কেটে মৃত্যু হয়েছে অন্য জনের। টিনের আঘাতে তাঁর ধড় ও মুণ্ড আলাদা হয়ে গিয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

Advertisement

ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও বিডিও-এর তরফ থেকে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে সাধ্যমত শুকনো খাবার, জল, ত্রিপল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সুবিধার্থে রন্ধনশালাও খোলা হয়েছে। দুপুরের রান্না এখানে হবে বলেই জানা যাচ্ছে। গৃহহীনদের জন্যে নিরাপদ আশ্রয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা আধিকারিক উদ্ধারকারী দল নিয়ে সারা রাত ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। ঝড়ে রাস্তায় অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে, ফলে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। সেগুলি সরানোর ব্যবস্থাও হচ্ছে।

Advertisement

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সব স্বাভাবিক হতে সময় লাগলেও বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement