প্রতীকী ছবি
এত দিন নদিয়ার করোনা মানচিত্রের কার্যত বাইরেই ছিল উদ্বাস্তু শহর কুপার্স। এ বার সেখানেও করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বছর পঞ্চাশের ওই আক্রান্তের বাড়ি কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মঙ্গলবার রাতে তাঁর রিপোর্ট জানা যায়। কয়েক দিন আগে তাঁর স্ত্রী-ও উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
নোটিফায়েড এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের শ্বশুরবাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্ত্রী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কলকাতার চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন বলে অনুমান করা হচ্ছে। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা তাঁকে খড়দহে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ব্যারাকপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের চেয়ারম্যান শিবু বাইন জানান, গত শুক্রবার ওই ব্যক্তির স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তিনি যে করোনায় আক্রান্ত তা জানার পরেই গত বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ওই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। পরিবারের বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শিবু বলেন, “ওঁর স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে ওঁর তেমন কোনও লক্ষণ ছিল না। স্ত্রীর থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ওঁদের বাড়ি এবং আশপাশের এলাকায় স্যানেটাইজ় করা হয়েছে। বাড়িটিকে কনটেনমেন্ট জ়োন করে দেওয়া হয়েছে।”
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)