দু’টি বাসের একই নম্বর প্লেট নিয়ে বিভ্রান্তি!
কার্যত একই দেখতে। রংও এক। দু’টিই একই সংস্থার বাস। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার, ওই দু’টি বাসের নম্বর প্লেটও হুবহু এক। কারণ, রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ‘অলৌলিক’ মিল— ডব্লুবি ৫৭সি ৫৮৫৮। দীর্ঘ দিন ধরে মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে কলকাতা রুটে চলছে এই দু’টি বাস। অথচ, কারও চোখে পড়েনি! বুধবার কৃষ্ণনগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় এই বিষয়টি নজরে আসতেই কার্যত ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হল যাত্রীদের।
করিমপুর ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের জন্য রক্ষিত ট্রাভেলসের কলকাতাগামী ‘অন্বেষা’ বাসটি নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো যাত্রীরা বাসে উঠতেই বাসের চালক ও তাঁর সহকারী জানিয়ে দেন, বাসটি করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের জন্য নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তৃণমূল কর্মী ও বাস কর্মীদের মধ্যে তুমুল বচসা বাধে। সেই সময়েই দেখা যায়, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি প্রায় একই রকম দেখতে বাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এক। এই বিষয়টি করিমপুর থানাতেও জানানো হয়। যদিও সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আইনানুগ কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা অনিকেত বিশ্বাস বলেন, ‘‘চোখের সামনে একই নম্বরের দু’টি বাস চলল, বুঝতেই পারলাম না!’’ এক বাসকর্মীর কথায়, ‘‘বুধবারের ঘটনার পর রোজই কত কত লোক এসে ওই দু’টি বাসের ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে!’’
কিন্তু কী ভাবে সম্ভব হল দু’টি বাসের এক রেজিস্ট্রেশন নম্বর, জানেন না ওই বেসরকারি ট্রাভেলস সংস্থার মালিক বাপি রক্ষিতও। তিনি বলছেন, ‘‘একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় অন্য বাসটিকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কী ভাবে এটা হল, আমি সত্যিই জানি না।’’ করিমপুর বাস মালিক সমিতির সদস্য সন্তু স্বর্ণকার বলেন, ‘‘এই সংস্থাটি দীর্ঘ দিন ধরেই ডোমকল-কলকাতা রুটে বাস চালায়। ওদের একাধিক বাস আছে। এত দিন ধরে দু’টি এক নম্বর প্লেটের বাস চলছে এই রুটে, জানতামই না।’’
এ প্রসঙ্গে তেহট্ট মহকুমার পরিবহণ আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঘটনাটা শুনেছি। একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরে দু’টি বাস থাকা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’