নববধূদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রসাধনী বাক্স, যাতে রয়েছে জন্মনিরোধক বড়ি এবং কন্ডোম। ছবি: সংগৃহীত।
প্রসাধনী বাক্সের ভিতর কন্ডোম, জন্মনিরোধক বড়ি! মধ্যপ্রদেশের গণবিবাহে এমনই বাক্স নববধূদের হাতে তুলে দেওয়া হল। জেলা প্রশাসন জানাল, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতন করার জন্যই সম্ভবত এই উপহার দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ বা নিকাহ যোজনার অধীনে আর্থিক ভাবে দুর্বল মহিলাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার ঝাবুয়া জেলার ঠান্ডলায় গণবিবাহের আসর বসে। সেখানেই নববধূদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রসাধনী বাক্স, যাতে রয়েছে জন্মনিরোধক বড়ি এবং কন্ডোম। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই প্রকল্পের অধীনেই এই উপহার দেওয়া হয়েছে।
প্রবীণ জেলা আধিকারিক ভুরসিংহ রাওয়াত জানিয়েছেন, সম্ভবত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরই এই জন্মনিরোধক বিলিয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতন করতেই তারা এই পদক্ষেপ করেছে। রাওয়াতের কথায়, ‘‘আমরা কন্ডোম এবং জন্মনিরোধক বিলি করিনি। পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর হয়তো বিলি করেছে এগুলি। মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ বা নিকাহ যোজনায় আমরা সরাসরি সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে দিই। খাবার, জল এবং তাঁবু বাবদ খরচ করা হয় ৬,০০০ টাকা। যে প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে কী রয়েছে জানি না।’’
২০০৬ সালে মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ বা নিকাহ যোজনা চালু করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের মহিলাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে সরকার। কনের পরিবারকে ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
গত মাসে মধ্যপ্রদেশের দিনদোরির গদসরাইয়ে একটি গণবিবাহের আসরকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, সেখানে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কি না, পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা যায়, এক মহিলা গর্ভবতী। তিনি জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগে থেকেই পাত্রের সঙ্গে একত্রবাস করছিলেন। দিনদোরির মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছিলেন, বর, কনের বয়স, শারীরিক সক্ষমতা মাপের জন্যই এই পরীক্ষা করা হয়েছিল।