হঠাৎ রাস্তায় উট দেখে ভিড় করছে কচিকাঁচারা। —নিজস্ব চিত্র।
তীব্র গরমে নাভিশ্বাস দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে বইছে লু। এর মধ্যে রাস্তায় চরে বেড়াচ্ছে উট! না, এই ছবি রাজস্থান বা রেগিস্তানের নয়, এই বাংলারই। মুর্শিদাবাদের সাগরগিঘিতে। তা-ও আবার একটা দুটো নয়, চার চারটি মাথা উঁচিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে ‘নবাবের দেশে’। উট দেখে অল্প বয়সীদের মধ্যে নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবি এখন ট্রেন্ডিং। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘ফিলিং রাজস্থান।’
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কাবিলপুর গ্রামে সকাল থেকেই দেখা মিলল একসঙ্গে দু’জোড়া উটের। গরমের মরসুমে তাই স্থানীয়রা টিপ্পনী কেটে বলছেন, ‘‘মরুভূমির সবই ছিল। শুধু উট বাকি ছিল। সেটাও এ বার চলে এলো। গরমের ষোলো কলা পূর্ণ হলো।’’ কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে এল রাজপুতের দেশের প্রাণী? স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিমী রাজস্থানের জয়সলমের থেকে ৭ জন মোট ৪টি উট নিয়ে এসেছেন সাগরদিঘিতে। সোমবার সন্ধ্যায় সেগুলো এলাকায় আসা মাত্র শুরু হয়েছে হুড়োহুড়ি। তারা স্থানীয় এলাকা ঘুরে ঘুরে ‘জাকাত’ সংগ্রহ করছে।
উট দেখে বেজায় খুশি স্থানীয়রা সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। লম্বা লাইন দিয়ে চলছে ছবি তোলা। প্রবীণদের অনেকে স্মৃতি রোমন্থন করে বলছেন, ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উদ-জ্জহাতের সময় আগে নিয়ম করে উট আসত মুর্শিদাবাদে। তাই তাঁরা অবাক নন। তবে এ সব কথায় পাত্তা দিতে নারাজ অল্পবয়সীরা। কলেজ পড়ুয়ারা ঠাট্টার সুরে বলছেন, ‘‘এ তো দুয়ারে রাজস্থান! উটের সঙ্গে ছবি তুলে গরমের সব কষ্ট ভুলে গেলাম।’’