Murder

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ‘গদাই চোরে’র দেহ, গণপ্রহারে মৃত্যু না খুন, বাড়ছে রহস্য

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর দশেক ধরে ছোটখাটো চুরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন ‘গদাই চোর’। সাইকেল বা টিউবওয়েল-সহ ঘরোয়া নানা জিনিসপত্র চুরি করে হাত পাকিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২২:৫৮
Share:

‘গদাই চোরে’র মৃত্যুরহস্য কিনারায় তদন্ত শুরু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

ভোরবেলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ‘গদাই চোরে’র দেহ। প্রায় দশক জুড়ে তেহট্ট মহকুমা এলাকায় ওই নামেই পরিচিত ছিলেন লিটন মণ্ডল (৩০)। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েই গণপ্রহারে মৃত্যু না তাঁকে খুন করা হয়েছে? আস্ত সাইকেল থেকে টিউবওয়েল— চুরিতে সিদ্ধহস্ত লিটন ওরফে ‘গদাই চোরে’র মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, রবিবার ভোরে বেতাই নতুন পাড়ার স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিলেন লিটন। তেহট্ট থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লিটনকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর দশেক ধরে ছোটখাটো চুরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন ‘গদাই চোর’। সাইকেল বা টিউবওয়েল-সহ ঘরোয়া নানা জিনিসপত্র চুরি করে হাত পাকিয়েছিলেন তিনি। চৌর্যবৃত্তির গোড়ার পর্বে বেশ কয়েক বার ধরাও পড়েছিলেন। জুটে ছিল গণপিটুনি। তবে দীর্ঘ দিনের রপ্ত কৌশলে ইদানীং তাঁকে ধরাছোঁয়া যেত না। স্থানীয় যুবক আশিস পাণ্ডের দাবি, ‘‘এলাকায় কিছু চুরি হলেই প্রথমে সন্দেহ হত গদাই চোরকে। পরে ওকে জিজ্ঞাসা করলে সে কথা স্বীকারও করত। ইদানীং হেরোইনের নেশা পেয়ে বসেছিল ওকে।’’

Advertisement

সূত্রের দাবি, মাদক সেবনের পাশাপাশি পাচারকারীদের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন লিটন। পলি মণ্ডল নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আগে শুধু মদ খেত। তার পরে শুরু হল হেরোইনের নেশা। ইদানীং এলাকার যুবকদের কাছে হেরোইন বিক্রিও শুরু করেছিল।’’ মাদকাসক্ত হওয়ার পর থেকেই ‘গদাই চোরে’র প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়েরা। বেশ কয়েক বার তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলেও দেন তাঁরা। ইদানীং এলাকায় খুব একটা দেখা যেত না তাঁকে। ‘গদাই চোরে’র মৃত্যুরহস্য কিনারায় তদন্ত শুরু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement