এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
নদিয়ার থানারপাড়ার পিয়ারপুরে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল নেতা। আহত ওই নেতার নাম হাসিবুল মণ্ডল। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের অন্য এক নেতার দিকে। গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। আহত হাসিবুলের পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। আহত ওই তৃণমূল নেতাকে প্রথমে নতিডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বহরমপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগেই থানারপাড়ার ওসির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে থানায় গণ স্বাক্ষর করে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। তার নেতৃত্ব দেন তৃণমূল নেতা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল। শনিবার করিমপপুরের সার্কল ইনস্পেকটর (সিআই)-এর নেতৃত্বে থানায় আলোচনা চলছিল। সেই সময় কিছু সই সন্দেহজনক হওয়ায় কয়েক জন গ্রামবাসীকে ডেকে পাঠানো হয়। তারা এসে ওই সই তাঁদের নয় বলে জানান। ওই গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের নামে জাল সই করা হয়েছে। এর পরে তাঁরা যখন গ্রামে ফিরে যাচ্ছিলেন, সেই সময় সাইফুলের নেতৃত্বে জনা ত্রিশ দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায়। তারা চাপ দিতে থাকে, ওই সই তাঁদের এবং তা থানায় গিয়ে জানিয়ে আসার জন্য। ওই গ্রামবাসীরা প্রাণ ভয়ে পিয়ারপুর পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেন।
পিয়ারপুর পুলিশ ক্যাম্প থেকে তাঁরা যখন ফিরে আসছিলেন, সেই সময় তাঁদের ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সাইফুলের দলবল। সেই তৃণমূলের বর্তমান বুথ সভাপতি হাসিবুল-সহ দু’জনের গুলি লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় থানারপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ইটের ঘায়ে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসেন তেহট্টের এসডিপিও নাগরাজ দেবগণ্ডা। তল্লাশি চালানোর সময় একটি নাইনএমএম পিস্তল ও বোমার খণ্ডাংশ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে।