দুই মেয়ের এক জনেরও বিয়ের বয়স হয়নি। প্রতীকী ছবি।
দুই মেয়ের এক জনেরও বিয়ের বয়স হয়নি। তা সত্ত্বেও ওই দুই নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়ার তেহট্ট-১ ব্লকের চিলাখালি গ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনা জানতে পেরে বাবা, মা-সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে তেহট্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ মে এক নাবালিকার বিয়ের কথা জানতে পারে ব্লক প্রশাসন। সেই খবর জানতে পেরে ২৭ এপ্রিল ব্লকের দুই আধিকারিক সেই বাড়িতে যায়। মেয়েটির কাকা নাবালিকার বয়স ১৮ না হওয়া অবধি বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেখা দেয় প্রশাসনকে। অভিযোগ, এর পরেও অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ওই নাবালিকার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এই খবর বিডিওর কানে গেলে ১১ তারিখ ব্লকের দুই আধিকারিককে সেখানে পাঠানো হয়। আধিকারিকেরা সেই সময় আর এক বিবাহিত নাবালিকাকে দেখতে পান।
পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসন জানতে পারে, বিবাহিত কিশোরীর বিয়ে তিন বছর আগে তেহট্ট-১ ব্লকের অন্য একটি গ্রামে হয়। প্রতিবেশী এবং অন্যান্য জায়গায় সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে ব্লক প্রশাসন নিশ্চিত হয় যে, ওই মেয়ের বিয়েও নাবালিকা অবস্থায় দিয়েছে পরিবার। সেই জন্য গোটা পরিবারকে শুক্রবার ব্লক অফিসে ডাকা হয়। ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই মেয়ের কারও বয়সের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। মুচলেকা দিয়েও নাবালিকার বিয়ে দেওয়ায় ওই দুই কিশোরীর বাবা, মা, কাকা এবং বিবাহিত কিশোরীর স্বামীর বিরুদ্ধে তেহট্ট থানায় অভিযোগ করেন বিডিও।
বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, ‘‘নাবালিকাদের বিয়ে আটকাতে একাধিক বার প্রশাসনের তরফে সচেতন করার চেষ্টা করা হলেও বিষয়টা মানতে চান না অনেক অভিভাবক। তাঁরা মুচলেখা দেওয়ার পরেও অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। আগামী দিনে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে, তাই মানুষকে সচেতন করতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী দিনে এই ঘটনা ঘটলে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’