জুতো মুখে নেোয়া অবস্থায় সেই যুবক। নিজস্ব চিত্র
শরীরে ঢুকেছে জোড়া পেত্নী! এই বলে এক যুবককে জোর করে জুতো খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল। কুসংস্কারের এই ভয়াবহ এই দৃশ্যের সাক্ষী হলেন মুর্শিদাবাদ বড়ঞা থানার চৌতপুর-বেলতলার বাসিন্দারা। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে।জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাড়িতে ‘উদ্ভট’ আচরণ করছিলেন কান্দি শহরের বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক। তবে চিকিৎসকের বদলে ওই যুবককে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে যান ময়ূরাক্ষী নদীর মাঝে অবস্থিত ওই চৌতপুর-বেলতলা এলাকায়, এক স্বঘোষিত ‘বাবা’র কাছে। তাঁকেই ওই যুবকের শরীর থেকে ‘ভূত’ তাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পর ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই যুবককে নানা ভাবে নিগ্রহের ছবি। ওই যুবককে মাটিতে শুইয়ে জুতো খেতে বাধ্য করা হয়। এর পর তাঁর মাথায় জল ঢেলে ‘বাবা’ দাবি করেন, ‘‘ওর শরীরে রানি শেখ এবং সুস্মিতা রায় নামে দু’টি ভূত ভর করেছিল। দু’জনেরই অপঘাতে মৃত্যু হয়েছিল। মন্ত্রবলে তারা আপাতত চলে গিয়েছে। তবে ওদের বিশ্বাস নেই, আবার যে কোনও সময় আসতে পারে।’’
চৌতপুর-বেলতলার এই কাণ্ডের কথা শুনে তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। ওই সংগঠনের মুর্শিদাবাদ জেলার সম্পাদক পুষ্পক পালের কথায়, ‘‘এ ধরনের ঘটনা লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক। এর বিরুদ্ধে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা জারি আছে। এই ধরনের কুসংস্কার দূর করতে জনসচেতনতার প্রসারই একমাত্র দাওয়াই।’’