তিমির বমি (অ্যাম্বারগ্রিস) পাচারের অভিযোগে মহারাষ্ট্রে গ্রেফতার চোরাচালানকারী। — প্রতীকী চিত্র।
তিমির বমি (অ্যাম্বারগ্রিস)-সহ মহারাষ্ট্রে ধরা পড়লেন এক পাচারকারী। মহারাষ্ট্রে ঠাণে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিমির প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি বমি। কালোবাজারে যার দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাছাকাছি। অভিযুক্ত নীতিন মাতান্না মোরেলুর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই তিমির বমি কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।
তিমির বমি নামে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিস ধূসর বা কালো রঙের হয়, তা পাথরের মতো শক্ত। সুগন্ধি তৈরির কাজে এই বর্জ্য ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়াও ওষুধ তৈরি এবং যৌন সমস্যার চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় তিমির বমি। কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হয় এই পদার্থটি। চাহিদা এবং চড়া দামের কারণে এটিকে ‘ভাসমান সোনা’ও বলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চোরাচালানের বিষয়ে গোপন সূত্র মারফত আগেভাগে খবর পেয়ে গিয়েছিলেন আধিকারিকেরা। সেই মতো ঠাণের রাবোড়ি এলাকায় হানা দেন তাঁরা। সেখানে এক প্রৌঢ়ের চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পায়। এর পরে তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস। ঠাণেতে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই তিমির সাড়ে ৫ কেজি বমি-সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল ঠাণে পুলিশের অপরাধদমন শাখা।