Crime

দাদার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আচমকা চড়াও! খড়গ্রামে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু, হামলার কারণ খুঁজছে পুলিশ

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে। খড়গ্রামের বাসিন্দা আশাদুলের বাড়িতে আচমকা চড়াও হন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ওই হামলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে আশাদুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ভাইয়ের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পারিবারিক বিবাদের মাঝে পড়ে প্রাণ গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। মৃত কিশোরের নাম আশাবুল শেখ। শনিবারের ঝামেলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় দশম শ্রেণিতে পাঠরত ওই কিশোরকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হচ্ছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর। শেষে রবিবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। পারিবারিক ওই বিবাদে আহত হয়েছেন কিশোরের মা, বাবা এবং দাদাও। তাঁদের মধ্যে কিশোরের মা সাবিনা বিবির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গ্রামের শঙ্করপুর এলাকার বাসিন্দা আশাদুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বৈবাহিক সম্পর্ক খুব একটা ভাল চলছিল না। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে আশাদুলের শ্বশুর বাড়িরে সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে এসে চড়াও হন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, বাঁশ-লাঠি দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ওই বিবাদে আশাদুল-সহ তাঁর পরিবারের মোট চার জন সদস্য আহত হন। আশাদুল ও তাঁর বাবার চোট গুরুতর না হলেও, বাকি সাবিনা ও আশাবুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় আশাবুলের।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান শেখের কথায়, “সামান্য পারিবারিক বিবাদ নিয়ে এমন ভয়াবহ কাণ্ড ঘটবে, কেউ বুঝতে পারেনি। ওঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে আক্রমণ করে এই ভাবে ছেলেটিকে শেষ করে দেবে তা কেউ ভাবতে পারিনি।” শনিবারের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই খড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আশাদুলদের পরিবার। কী কারণে এই হামলা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ। শনিবার খড়গ্রামের এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, ঘটনার কথা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement