তৃণমূলে যোগদান কংগ্রেস এবং সিপিএম সদস্যদের। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটে জেতার মাসখানেকের মধ্যেই দলবদল কংগ্রেস এবং সিপিএমের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের। রবিবার মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫ বিরোধী সদস্য। তৃণমূলে যোগদানকারীদের মধ্যে দিলেন কংগ্রেসের ৪ পঞ্চায়েত সদস্য এবং সিপিএমের এক সদস্য। শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন ওই পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য। এর ফলে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল শাসকদল।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রক্ত ঝরেছে শমসেরগঞ্জে। তখন শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল কংগ্রেস এবং সিপিএম একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। কিন্তু ভোট মিটতেই পাল্টে গেল ছবি। এ বার বিরোধী দলগুলির জয়ী প্রার্থীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। এর আগেও শমসেরগঞ্জে বিরোধী দলগুলির বেশ কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শাসক শিবিরে ভিড়েছেন। রবিবার শমসেরগঞ্জের পুটিমারিতে তৃণমূলের বাসভবনে উপস্থিত হন কংগ্রেসের চার এবং সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জয়ী প্রার্থীদের অনুগামীরাও। এই যোগদান প্রসঙ্গে শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুলের দাবি, ‘‘এই প্রার্থীরা ভোটের আগেই মানুষের কাছে বলেছিলেন যে, তাঁরা ভোটে জিতলে তৃণমূলেই যোগ দেবেন। সেই মতোই প্রার্থীরা যোগদান করেছেন।’’ তাহলে অন্য দলের প্রতীকে লড়াই করার মানে কী? ওই প্রার্থীদের অনুগামীরা জানাচ্ছেন, তৃণমূল থেকে টিকিট না পাওয়ায় অন্য দলের হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে।
প্রতাপগঞ্জ অঞ্চলে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী মহম্মদ এনামুল হক, গোকুলকুমার দাস, মলি খাতুন এবং সিপিএমের প্রতীকে জয়ী জৈদুর রহমান শাসকদলের পতাকা তুলে নেন। পাশাপাশি ভাসাইপাইকর পঞ্চায়েত থেকে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুল হকও শাসকদলে যোগ দেন। প্রত্যেকেই বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের যে উন্নয়ন করছেন, সেই যজ্ঞে আমরাও শামিল হলাম।’’ যদিও শমসেরগঞ্জে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ইমাম হোসেনের অভিযোগ, ‘‘জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের ভয় এবং প্রলোভন দেখিয়ে শাসকদলে যোগদান করানো হচ্ছে।’’ ওই অভিযোগ অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল।