(বাঁ দিকে) বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক হরবংশ রাঠৌর। পুকুরে উদ্ধার হওয়া কুমির (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল চারটি কুমির। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বান্দার প্রাক্তন বিধায়ক হরিবংশ সিংহ রাঠৌর। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বাড়িতে সম্প্রতি হানা দেয় আয়কর দফতর। সেই সময়েই প্রাক্তন বিধায়কের জমিতে একটি ছোট পুকুরে দেখা যায় চারটি কুমির। দু’টি কুমির শুক্রবারই উদ্ধার করেছে বন দফতর। বাকি দু’টিকে শনিবারের মধ্যে উদ্ধার করার কথা রয়েছে বনকর্মীদের। বন বিভাগ কুমির উদ্ধারের কথা স্বীকার করলেও আয়কর দফতর এখনও এ নিয়ে মন্তব্য করছে না।
কী কারণে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি লাগোয়া পুকুরে কুমির রাখা ছিল, তা-ও অস্পষ্ট। তিনি কি সেগুলি পুষছিলেন, না কি অন্য কোনও মতলব ছিল, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে বন বিভাগ। মধ্যপ্রদেশের বন দফতর এই নিয়ে একটি মামলা রুজু করতে উদ্যোগী হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বন দফতরের কর্তা অসীম শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে একটি তদন্ত করা হবে। এর পরে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় মামলা রুজু করে বনবিভাগ। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে তিনি বলেন, “আয়কর দফতর থেকেই কুমিরের বিষয়ে খবর দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”
বন দফতর বলছে আয়কর দফতর থেকেই খবর দেওয়া হয়েছে। অথচ আয়কর কর্তারা এই কুমির বিতর্কে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বাড়ি থেকে কোনও বন্যপ্রাণী পাওয়া গিয়েছে বলেও স্বীকার করতে চাইছেন না আধিকারিকেরা। পুকুরটি প্রাক্তন বিধায়কের জমির মধ্যে থাকলেও পুকুরটিকে নিজেদের বলে মানতে চাইছেন না প্রাক্তন বিধায়ক বা তাঁদের পরিবারের সদস্যেরাও। যদিও বন দফতরের আধিকারিক শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া কুমিরগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। তার পরে সেগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে নিরাপদ স্থানে।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বিড়ির ব্যবসা। তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী রাজেশ। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে ১৫৫ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর সেই মামলারই তদন্তে আয়কর দফতর হানা দিয়েছিল প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে।