Bangladeshis

নদিয়ায় আত্মগোপন করে থাকা চার বাংলাদেশিকে পাকড়াও করল পুলিশ, কী ভাবে ঢোকেন ভারতে?

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার বাংলাদেশির মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। চার জনের নাম সুমি আখতার, ইমন বিশ্বাস, শঙ্কর বিশ্বাস এবং রূপকুমার বিশ্বাস। অভিযুক্তদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতে। আশ্রয় নিয়েছিলেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় এক জনের বাড়িতে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এমনই চার বাংলাদেশিকে পাকড়াও করল পুলিশ। শনিবার ধৃতদের হাজির করানো হয়েছে আদালতে। তাঁদের কাছে ভারতে বসবাসের কোন বৈধ নথি ছিল না বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। কী ভাবে তাঁরা এ দেশে প্রবেশ করলেন, সেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ধৃত চার বাংলাদেশির মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। চার জনের নাম সুমি আখতার, ইমন বিশ্বাস, শঙ্কর বিশ্বাস এবং রূপকুমার বিশ্বাস। অভিযুক্তদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা ছিল না। তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে জানতে খবর পায় রানাঘাট জেলা পুলিশ। চার জনের খোঁজ চলছিল। তবে অভিযুক্তেরা গত দু’দিন কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গোপন সূত্রে ওই খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে সেই বাড়িতে হানা দেয়। গ্রেফতার হন চার জন।

শনিবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কী কারণে ওই চার বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকা থেকেও এক জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সইদুল শেখ। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে দুই ভারতীয়কেও পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁরা বৈষ্ণবনগর এবং রানিনগরের বাসিন্দা। দু’জন দালালের কাজ করতেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের পাবনা জেলার বাসিন্দা সইদুল দুই দালালের সাহায্যে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। মাসখানেক আগেই মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকা থেকে ৪০ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই দক্ষিণ ভারতে বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন। মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গত এক মাসের মধ্যে এমন ৭০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement