—প্রতীকী ছবি।
নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও কাটেনি শেয়ার বাজারের শনির দশা! সোমবার, ৬ জানুয়ারি ১,২০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। নিফটি ৫০-এর সূচক নেমেছে প্রায় ৪০০ পয়েন্ট। ফলে আবারও বিরাট অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়লেন লগ্নিকারীরা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই নিয়ে টানা দু’দিন নিম্নমুখী রইল শেয়ারের সূচক। শুধু তা-ই নয়, চলতি সপ্তাহে বাজার কতটা উঠবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকেরাও।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দিন মাত্র ৬২৯টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে দাম কমেছে ৩,৩২৯টি শেয়ারের। ১০৯টি স্টক দিনভর অপরিবর্তিত থেকেছে। নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে টাটা স্টিল, ট্রেন্ট, কোল ইন্ডিয়া, এনটিপিসি এবং বিপিসিএলের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের। তবে খারাপ দিনেও অ্যাপোলো হাসপাতাল, টাটা কনজ়ুমার, টাইটান এবং এইচসিএল টেকনোলজ়িসের লগ্নিকারীরা পকেট ভরাতে সক্ষম হয়েছেন।
এ দিন অধিকাংশ সংস্থার স্টকের সূচকই অবশ্য লাল জ়োনে থেকেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় চার শতাংশ। অন্য দিকে সংকর ধাতু, রিয়্যাল এস্টেট, শক্তি, অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিদ্যুৎ এবং তেল ও গ্যাসের কোম্পানির স্টকে তিন শতাংশের পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) মাঝারি এবং ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচক নেমেছে যথাক্রমে ২.৪ এবং তিন শতাংশ।
সোমবার বিএসই বন্ধ হয়েছে ৭৭,৯৬৪.৯৯ পয়েন্টে। সকালে বাজার খোলার সময়ে ৭৯,২৮১.৬৫ পয়েন্ট থেকে দৌড় শুরু করে সেনসেক্স। অর্থাৎ এই বাজারের সূচক নেমেছে ১,২৫৮.১২ পয়েন্ট বা ১.৫৯ শতাংশ। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৯,৫৩২.৬৭ পয়েন্টে উঠেছিল সূচক।
অন্য দিকে দিন শেষে ২৩,৬২৮ পয়েন্টে গিয়ে থেমেছে নিফটি। সকালে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) অবশ্য খুলেছিল ২৪,০৪৫.৮০ পয়েন্টে। এই বাজারে ৩৭৬.৭৫ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে এটি ১.৫৭। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,০৮৯.৯৫ পয়েন্টে উঠেছিল নিফটি-৫০।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)