বাসি খাবারেই বানিয়ে ফেলতে পারেন পিৎজ়া থেকে বার্গার। ছবি: সংগৃহীত।
রান্না করা, হেঁশেল সামলানো কতটা কঠিন, তা বোঝেন নিয়মিত যাঁরা কাজটি করেন। খাবার কম হলে চলবে না, আবার বেশি খাবার ফেলে দিতেও মন সায় দেয় না। দামের জিনিস। এ দিকে আগের দিনে বেঁচে যাওয়া পরোটা হোক বা শাক, কিংবা ডাল— খাওয়াতে গেলেই বিপত্তি। কেউ তা মুখে তুলবে না। তা হলে উপায়?
বাসি পরোটা হোক বা ডাল কিংবা রাজমা, তা দিয়ে খুদের পছন্দের মুখরোচক পদ কিন্তু বানিয়ে দিতে পারেন। খেয়ে প্রশংসা করলেও বুঝতেই পারবে না সে, তা কী দিয়ে তৈরি।
পিৎজ়া: আগের দিনে পরোটা বেঁচে গিয়েছে। তা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন পিৎজ়া। পরোটা হবে পিৎজ়ার বেস। পরোটার উপর পিৎজ়া সস্, স্যতেঁ করে নেওয়া পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, সুইটকর্ন, পনিরের টুকরো ছড়িয়ে দিন। যোগ করুন সামান্য অরিগ্যানো এবং মোজরেলা চিজ়। কড়াই আগে থেকে ঢাকা দিয়ে গরম করে রাখুন। তার মধ্যে একটি স্টিলের প্লেট বসিয়ে পরোটা পিৎজ়া বসিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে মিনিট ৩-৫ রাখলেই উপরের চিজ় গলে যাবে। জিনিসটি মাইক্রোওয়েভ অভেনে মিনিট ২ কনেভকশন মোডে দিলেও হবে। তৈরি হয়ে যাবে পরোটা পিৎজ়া।
পকোড়া: ডাল প্রতি বাড়িতেই মাঝেমধ্যে বেঁচে যায়। মুসুর ডাল হোক বা মটর ডাল, আটার সঙ্গে পেঁয়াজ বাটা, কসৌরি মেথি দিয়ে মেখে পরোটা বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ডল দিয়ে মুচমুতে পকোড়া বানিয়ে নেওয়া যায়। ডাল ঘন করে নিয়ে, তার সঙ্গে আলুসেদ্ধ, পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা কুচি, স্বাদ মতো নুন, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে পকোড়া বা মুচমুচে বড়া বানিয়ে নেওয়া যায়।
বার্গার: রাজমা বেঁচে গিয়েছে। পাউরুটি থাকলে সহজে বানিয়ে ফেলা যাবে বার্গার। রাজমার ঝোল বা কাই প্রথমেই বাদ দিয়ে দিন। সেদ্ধ করা রাজমা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তার সঙ্গে যোগ করুন জল ঝরানো চিঁড়ে। স্বাদ মতো নুন, ধনে, জিরেগুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে ভাল করে হাতের সাহায্যে মেখে নিন। গোল মোটা প্যাটি তৈরি করে ননস্টিক কড়ায় অল্প তেল দিয়ে উল্টেপাল্টে সেঁকে নিন। এবার বার্গার পাউরুটির মধ্যে পছন্দের সব্জি, লেটুস, প্যাটি, সস্ দিয়ে দিন।